সোমবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকারি চাকরি

নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ পদ্ধতি চাই

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার দানব যে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে এটি একটি ওপেন সিক্রেট। সরকারি চাকরি যারা করেন তারা বেতনভাতাসহ সবকিছু ভোগ করেন দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকা থেকে। তবে সেবা দানের ক্ষেত্রে এদের অন্তত ৯০ শতাংশ উৎকোচ ছাড়া নড়ে না। বলা হয়ে থাকে বিসিএস ক্যাডার ছাড়া অন্য সব সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা নয় অবৈধ লেনদেনই মুখ্য ভূমিকা রাখে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষা হয় ঘটা করে, নিয়োগ পরীক্ষার নামে চাকরি প্রার্থী বা তাদের অভিভাবকদের টাকার শ্রাদ্ধও হয় যথেচ্ছভাবে। কিন্তু শতকরা ৯০ শতাংশ কিংবা আরও বেশি ক্ষেত্রে চাকরি বিক্রি করা হয় মোটা টাকার বিনিময়ে। এ নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িতরা কখনো প্রশ্ন ফাঁস করে কখনো নিয়োগদাতাদের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে ‘চাকরি বিক্রি’ করেন। এমন একটি চক্রের সদস্যদের পাকড়াও করেছে ডিবি পুলিশ। সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিল এ চক্রের সদস্যরা। সর্বশেষ শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসও করেন তারা। পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন ফাঁস করে। সেগুলোর উত্তর সরবরাহ করার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছিলেন প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা। ডিবির মতে, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের বরখাস্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদ ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরীন রূপার যোগসাজশে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে আসছিল। চক্রটির কয়েক সদস্য আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু ছাড়া পেয়েই তারা আবারও মেতে ওঠেন পুরনো ব্যবসায়। সরকারি কর্মচারীদের কাছে সাধারণ মানুষ সেবার জন্য গিয়ে হয়রানির সম্মুখীন হয় এটি ওপেন সিক্রেট। এই হয়রানি বন্ধ করতে হলে আগে নিয়োগ বাণিজ্যের ইতি ঘটাতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁকফোকড় বন্ধ করতে হবে জরুরিভাবে। সর্বস্তরের সরকারি চাকরি বিসিএস পদ্ধতিতে নিয়োগের কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর