মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

যানবাহনে দুর্ঘটনা

মৃত্যুর মিছিল থামানোর উদ্যোগ নিন

সড়ক দুর্ঘটনা এক অভিশাপের নাম। প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। আহতের সংখ্যা আরও বেশি। মহামারিতে ২০২১ সালে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৮০৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৩৯ জন। আহতের অনেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। গত সাত বছরে মোট ৩৭ হাজার ৪২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১ হাজার ৬৬৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ৩৯৭ জন আহত হয়েছেন। যাত্রীকল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেওয়া এ তথ্য যে কোনো মূল্যায়নে উদ্বেগজনক। অনুমান করা যায়, যারা সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হচ্ছেন তার অনেকেই পরিবারের একমাত্র আয়ক্ষম ব্যক্তি। যাদের মৃত্যু বা পঙ্গুত্বের কারণে পরিবারের সদস্যদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর লকডাউনে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কে ৫ হাজার ৬২৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত ও ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জন নিহত ও ৫৭৮ জন আহত এবং নিখোঁজ হয়েছেন ৫৪৪ জন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৬ হাজার ২১৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ হাজার ৫১৬ জন নিহত ও ৯ হাজার ৭৫১ জন আহত হয়েছেন। দেশে সড়ক, জল ও রেল পথে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় প্রতিটি দুর্ঘটনার পেছনে অসতর্কতা জড়িত। যান্ত্রিক ত্রুটিও দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে। প্রতি বছর অসংখ্য পরিবারে কান্নার ধ্বনি ধ্বনিত হচ্ছে সড়ক, নৌ বা রেল পথের দুর্ঘটনার জন্য। যা বন্ধে সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের দেশে মোটরযান ও নৌযান চলাচলের লাইসেন্স মেলে টাকার বিনিময়ে। দুর্ঘটনা করেও পার পাওয়া যায়। মৃত্যুর মিছিল কমাতে হলে এ যাচ্ছেতাই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়ার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর