শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
ইতিহাস

সম্রাটের মন জয়

মুর্শিদকুলি খান মুঘল সম্রাটের মন জয় করেছিলেন রাজস্বব্যবস্থায় আমূল বিপ্লব ঘটিয়ে। তিনি যখন বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন তখন কোষাগারে নগদ টাকার ঘাটতি ছিল। এ কারণে বাজারেও নিত্যদিনের দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে দেশি-বিদেশি বণিকরা এখানে পর্যাপ্ত বিনিয়োগে অনাগ্রহী হয়ে ওঠেন। তা ছাড়া রাজকর্মচারী ও শাহজাদা আজিম-উশ-শানের বেপরোয়া খরচে করের টাকা খরচ হয়ে যেত।  এমন যখন অবস্থা তখন মুর্শিদকুলি খান বাংলার হাল ধরেন। তিনি কর্মচারীদের জায়গিরগুলো সরকারি খাসজমির আওতাভুক্ত করেন এবং তাদের ওড়িশায় জায়গির দেওয়া হয়। তিনি বাংলার ভূমি জরিপ পরিচালনা ও রাজস্ব আদায়ের জন্য ইজারা প্রথার প্রচলন করেন। বাংলায় বার্ষিক শস্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ কর হিসেবে নির্ধারিত ছিল। বিশেষ করে বাংলার জমিদাররা এ নির্ধারিত কর ফাঁকি দিতেন। ইজারাদার নিয়োগ দেওয়ার পর কর আদায় বাড়তে থাকে। কর নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে অতিরিক্ত কর আদায় করতে পারতেন না ইজারাদারও। বেশকিছু ভূমি জরিপ ও কর আদায়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখা গিয়েছিল। তবে সামগ্রিকভাবে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন হতে থাকে। মুদ্রা ঘাটতি প্রতিরোধে তিনি ১৭০৪ সালের দিকে একটি টাঁকশাল স্থাপন করেন। প্রাথমিক কিছু জটিলতা শেষে ১৭০৫ সালের পর মুদ্রা ঘাটতি কমতে থাকে। মুদ্রা ঘাটতি পূরণ হয়ে আরও দেড় কোটি টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। বাংলা থেকে বার্ষিক ১ কোটি ৩ লাখ টাকার রাজস্ব পাঠানো হতো মুঘল রাজধানীতে। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে মুর্শিদকুলি খানের একটি অদ্ভুত নিয়ম ছিল।     

জাফর খান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর