রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

খাল উদ্ধার কার্যক্রম

সব সেবা খাত সিটি কর্তৃপক্ষের অধীনে নিন

রাজধানীর অপদখলকৃত খালগুলো দখলমুক্ত করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। যুগ যুগ ধরে খাল, লেক ও প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। রাজধানীর এ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটির দেখভালের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার ওপর। ওয়াসার কীর্তিমান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানীর কয়েক ডজন খালের অস্তিত্ব জিইয়ে রাখার বদলে সেগুলো গিলে খেতে দখলবাজদের সহযোগিতা করেছেন। ফলে রাজধানী খালশূন্য নগরী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এ আত্মঘাতী প্রবণতায় রাশ টানতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব পায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তার পর থেকে ১৩ মাস ধরে শুরু হয়েছে বেদখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর উদ্ধারকাজ। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও রাজধানীর বসিলার লাউতলা খালের বুকে দাপিয়ে বেড়াত ট্রাক। খাল ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছিল ট্রাকস্ট্যান্ড, বহুতল মার্কেট, কাঁচাবাজার, সুউচ্চ ভবন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এসব অবৈধ স্থাপনা। খালটি স্বরূপে ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খনন। খাল দখল ঠেকাতে সীমানা নির্ধারণ, চারপাশে হাঁটারাস্তা, সাইকেল লেন, সারি সারি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছে দুই সিটি করপোরেশন। শুধু এ খাল নয়, রাজধানীর সব খাল বাঁচাতে মাঠে নেমেছে তারা। ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার হাতে থাকার সময় প্রতি বছর এ খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও দখলবাজদের প্রতি ওয়াসার দুর্বলতায় খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছিল। বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছিল জলাবদ্ধতা। এ অবস্থায় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর এসব খালের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তার পর থেকে বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে শুরু হয় খাল পুনরুদ্ধার কর্মকাণ্ড। রাজধানীবাসীর অভিমত, অচল রাজধানী সচল করতে সংশ্লিষ্ট সব সেবা কার্যক্রম দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। দূর করা উচিত আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর