মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনার টিকা কার্যক্রম

জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে

দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশকে ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ১০ কোটি মানুষ পেয়েছেন প্রথম ডোজের টিকা। সরকার দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার যে লক্ষ্য ধার্য করেছিল তা বাস্তবায়নে টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয় নিবন্ধনের মাধ্যমে। পরে এ কার্যক্রম জোরদার করতে নিবন্ধন ছাড়াই গণটিকা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনা টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে ৮ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৬, পাসপোর্টের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৯২, জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে ২৪ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধন ছাড়া টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার ৬১১ জন। বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয় বেশ আগেভাগে। এ বিষয়ে ভারতীয় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু ভারতে ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তারা টিকা রপ্তানি স্থগিত করে। এ অবস্থায় দ্রুত চীনের সঙ্গে চুক্তি করে সমস্যার সুরাহা হয়। অন্যান্য সূত্র থেকেও চলে টিকা সংগ্রহ। এ পর্যন্ত ২৭ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৬৭০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ১১০, ফাইজারের ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৩১০, মডার্নার ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯২ হাজার ৪৬০, সিনোফার্মের ১১ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার, সিনোভ্যাকের ৬ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪০ ও জেঅ্যান্ডজের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫০ ডোজ। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬ ডোজ টিকা অবশিষ্ট রয়েছে সরকারের হাতে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকাই এ যাবৎ আবিষ্কৃত প্রধান অস্ত্র। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলে এ মহামারির কবল থেকে অনেকটাই সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। টিকা নেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টিতে জনসচেতনতা গড়ে তোলাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর