শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

টাকার কোডে জাল রুপি

তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে

জাল নোট তৈরির চক্রগুলো বছরজুড়ে সক্রিয় থাকে। কোনো উৎসব এলে তাদের অপতৎপরতা বাড়তে থাকে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও চলেছে জাল নোটের হাতবদল। এর মধ্যে কয়েক কোটি টাকার জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজধানীতে। বাসা ভাড়া নিয়ে গোপনে জাল নোট তৈরির সিন্ডিকেটে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ইয়াবাসহ মাদক কারবারি, হাসপাতালের দালাল, চোরাকারবারি, গার্মেন্ট ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সারা বছর মাদকের লেনদেন, চোরাই পণ্যের কারবার, সোনা বেচাকেনাসহ বিভিন্ন অবৈধ লেনদেনে জাল নোট চালিয়ে দেন তারা। গ্রেফতার করা হলেও তারা বারবার জামিনে বেরিয়ে যান। আবার একই কারবারে জড়িয়ে পড়েন। জানা গেছে, পাকিস্তানে তৈরি ভারতীয় জাল রুপির চালান বাংলাদেশের পাচারকারীদের কাছে হাতবদলে ব্যবহার করা হতো পাসওয়ার্ড। বাংলাদেশি টাকার বিভিন্ন নোটের নম্বরকে পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এ জন্য নোটের মাঝখান থেকে ছিঁড়ে একটি অংশ দেওয়া হতো ডিলারের কাছে। নোটের নম্বরসহ বাকি অংশ দেওয়া হতো ক্রেতাকে। ক্রেতা নির্দিষ্ট কোডের ওই ছেঁড়া অংশ নিয়ে গেলেই ডিলার বুঝে যেতেন সঠিক লোকই এসেছে। পরে চুক্তি অনুযায়ী তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হতো জাল রুপির চালান। সম্প্রতি জাল রুপি পাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের দুটি পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতে জাল রুপি সুপার নোট পাচারের চেষ্টা করে আসা পাকিস্তানি এ চক্রের মূলহোতা করাচিতে থাকা শফি ও তার ছেলে সুলতান। পাকিস্তানি নাগরিক শফি একসময় জাল রুপির কারখানায় কাজ করতেন। এক পর্যায়ে নিজেই ভারতীয় জাল রুপির সুপার নোট তৈরি করা শুরু করেন। বর্তমানে তার ছেলে সুলতানই পুরো সিন্ডিকেটের দায়িত্ব পালন করছেন। জাল নোট কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি বাড়াতে হবে। তাদের আনতে হবে আইনের আওতায়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর