শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

উৎপাদন বাড়াতে হবে

আমদানিনির্ভরতা কাম্য নয়

স্বাধীনতার পর দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বাড়ার পরিমাণ তিন গুণের বেশি। একসময় দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশ অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাত। তারা সে দুর্ভাগ্য থেকে মুক্তি পেয়েছে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে। দেশ মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পেলেও প্রতি বছর কোটি কোটি মণ চাল-গম আমদানি করতে হচ্ছে। এ অবস্থা কাটাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর নানামুখী উদ্যোগ চলছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে, গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি-ধান ৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, ব্রি-ধান ১০১, ব্রি-ধান ১০২সহ ৭৩টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এসব ধানের বীজ কৃষকের হাতে পৌঁছানো এবং কম খরচে অধিক উৎপাদন সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি খাদ্য চাহিদা পূরণ ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে গবেষণালব্ধ ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ চাষাবাদে কৃষককে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সংসদ ভবনে মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তেলবীজ ও আউশের বিভিন্ন জাত উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, কৃষি সচিব, বিভিন্ন দফতর-সংস্থার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তা খুবই গুরুত্বের দাবিদার। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি। কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে ধান কাটাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। এ উদ্দেশ্যে কৃষক সমবায় গড়ে তোলার কথাও ভাবা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর