সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

বাণিজ্য বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ভারতে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধা বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ এ সুবিধা পায়। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বৈঠকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর অন্তত তিন বছর এ সুবিধা চেয়েছে। ভারত তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত হয়েছে- দুই দেশের শিল্পপতিদের নিয়ে গঠিত সিইও ফোরামের প্রথম বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে সরকারি সফরের সময় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কভিড মহামারির কারণে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর দুই দেশের সীমান্ত হাটগুলো খুলে দেওয়া হবে। শিগগিরই পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা শুরু হবে। রেলওয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সিরাজগঞ্জ বাজারের কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়ানোর পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য পেট্রাপোলে ৯০০ মিটার নতুন সাইডিং লাইন চালু হচ্ছে। দর্শনার মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির জন্য নতুন লোডিং ও আনলোডিং প্ল্যাটফরম তৈরি হচ্ছে। ঈশ্বরদীতে রেল ও সড়কপথে রপ্তানি ও আমদানির জন্য নয়া শুল্কবন্দরের ডিপিআর অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে খালি ওয়াগন ফেরত আনা নিয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এতে পরিবহন ব্যয় কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাটের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক এবং অন্যান্য শুল্ক বাধা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়গুলো আলোচিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। চীনের মতো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য একদিকে ঝুলে আছে। বাংলাদেশ ভারতে দেড় বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। আমদানির পরিমাণ সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যিক ভারসাম্যের স্বার্থে এ পার্থক্য কমিয়ে আনার কর্মকৌশল উদ্ভাবনে দিল্লি যত্নবান হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর