মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
ইতিহাস

রাধা বিনোদ পাল

জাফর খান

জাপানের প্রয়াত সম্রাট হিরোহিতো একবার বলেছিলেন, ‘যত দিন জাপান থাকবে বাঙালি খাদ্যাভাবে, অর্থকষ্টে মরবে না। জাপান হবে বাঙালির চিরকালের নিঃস্বার্থ বন্ধু।’ সম্রাট হিরোহিতোর এ বক্তব্য ছিল একজন বাঙালির প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ। এই বাঙালির জন্ম বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়। রাধা বিনোদ পাল ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষক ও আইনজীবী, যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে, যদিও তিনি দেশ বিভাগের পর ভারতের নাগরিক হন। টোকিওর চিয়োদা অঞ্চলে ১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ, যা প্রায় ২৫ লাখ মানুষের স্মৃতির সম্মানে, যারা জাপানের হয়ে অথবা জাপানের বিপক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে অথবা যুদ্ধসংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হয়ে মারা গেছেন। এখানে একটি মোটে স্মৃতিস্তম্ভ ব্যতিক্রমী, যার স্মরণে এটি তৈনি তিনি এ ধরনের কোনো যুদ্ধ বা সহিংসতায় নিহত হননি। রাধা বিনোদ পালই হলেন সেই ব্যক্তি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ভারতীয় নাগরিককে জাপানে জাতীয় বীরদের পর্যায়ের সম্মাননা দেওয়া হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ২০০৭ সালে তিন দিনের ভারত সফরে এসে রাধা বিনোদ পালের ছেলে প্রশান্ত পালের সঙ্গে দেখাও করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে যেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচারের সম্মুখীন করা হয়, সেই টাইব্যুনালের ১১ জন বিচারকের একজন ছিলেন রাধা বিনোদ পাল।

               

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর