শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

ভুয়া কার্যাদেশ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে

সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতেই অনলাইনে টেন্ডার আহ্বান, দাখিল ও অনুমোদন পদ্ধতি চালু হয়। তার পরও টেন্ডার নিয়ে নানা সময় পত্রপত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ প্রচার হতে দেখা যায়। গুলশানে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে অফিস খোলে কথিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল-তাকদীর ইন্টারন্যাশনাল বা তাকদীর গ্রুপ। হাজার কোটি টাকার ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে পণ্য সরবরাহকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই ছিল প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। রাজধানীর গুলশানের ওই অফিসে কাজের চুক্তি করতে আসা ব্যবসায়ীদের নামিদামি রেস্টুরেন্টে শত পদের খাবারে করানো হতো আপ্যায়ন। কাজের চুক্তির নামে সাপ্লাইয়ারদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আল-তাকদীরের কর্ণধার আলমগীর হোসাইন। সবশেষ সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে ব্রিজ প্রজেক্টে ৩০০ কোটি ঘনফুট বালু সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছে বলে প্রচারণা চালায় আলমগীরের ওই প্রতিষ্ঠান। ৮ মার্চ গুলশান থানায় এ-সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তে আলমগীরের প্রতারণার বিষয় উঠে আসে। বুধবার রাতে গুলশান ও খিলগাঁও থেকে আলমগীরসহ দুই সহকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া চুক্তি করে কমিশন হিসেবে সাপ্লাইয়ারদের থেকে ৩৫-৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। সবার টাকা মেরে নিয়ে অফিস ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে উধাও হয়ে যান আলমগীর। বাংলাদেশে সাধারণত একটি টেন্ডার প্রক্রিয়া যে ১০ ধাপে সম্পন্ন হয় তার প্রায় সবই করা হয় এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এখানে সব তুলনামূলক হিসাবের তথ্য, ব্যাংকিং সবই কম্পিউটার তৈরি করে দেয়। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার এ প্রশংসনীয় উদ্যোগ বরবাদ করতে যে অস্বচ্ছতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর