বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ে আবারও রক্তপাত

সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বান্দরবান সীমান্তবর্তী দুর্গম রাজস্থলীতে আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস ও মগ লিবারেশন পার্টি-এমএলপির দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। তিন পার্বত্য জেলায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র কর্মীদের মধ্যে হানাহানি লেগেই রয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় একজন সেনা সদস্য ও তিন সন্ত্রাসী নিহত হন। এ ঘটনার এক মাস পর ৫ মার্চ বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা সীমান্তের পালংক্ষ্যং এলাকায় দুই সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পাহাড়ি জেলায় স্বাধীনতার পরপরই অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ক্ষমতায় আসা অবৈধ সামরিক জান্তার কারসাজিতে পার্বত্য এলাকায় অশান্তি ভয়াবহ রূপ নেয়। ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পার্বত্যাঞ্চলে হানাহানি ছিল নিত্যকার ঘটনা। শান্তিচুক্তির পর পাহাড়ি বিদ্রোহীদের বড় অংশই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তবে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একাংশ শান্তিচুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা পাল্টা সংগঠন গড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ দুর্বৃত্তপনায় লিপ্ত হয়। জনসংহতিতে দুর্বৃত্তপনা লালন করার অবাঞ্ছিত প্রবণতা জেঁকে বসে। সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি -বাঙালিসহ শান্তিকামী মানুষের জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় তৎপর মগ লিবারেশন পার্টি নামের সশস্ত্র সংগঠন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে জনসংহতি সমিতিসহ অন্যান্য সমাজবিরোধী সংগঠনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করব পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর