রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

ধনী-গরিব বৈষম্য

টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে কমাতে হবে

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫১ বছরে চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাজেটের আয়তন বেড়েছে কল্পনার চেয়েও বেশি গতিতে। দেশে কোটিপতি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও লাখ ছাড়িয়েছে। বাস্তবে কোটিপতির সংখ্যা বহুগুণ বললেও অত্যুক্তি হবে না। দৃষ্টিকাড়া অর্থনৈতিক সচ্ছলতার বিষয়টি ইতিবাচক হলেও এর বিপরীতে সামাজিক বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। ধনী ও গরিবের পার্থক্য আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে। স্বাধীনতার ৫১ বছরে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল কাতারে উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। বিপুল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে আগামী দুই দশকের মধ্যে বিশ্বে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪১ আর ক্রয়ক্ষমতার বিবেচনায় ৩০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইসওয়াটার কুপার হাউস বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম বড় অর্থনীতির দেশ, ২০৫০ সালে আরও ৫ ধাপ এগিয়ে আসবে ২৩ নম্বরে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশন কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ক্রমতালিকা প্রকাশ করছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০ দেশের মধ্যে ১৩৭তম এবং এশিয়ায় ৪১ দেশের মধ্যে ২৮তম। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, বাংলাদেশ প্রতি বছরই এ তালিকায় ওপরের দিকে উঠে এসেছে। ভারত এ তালিকায় রয়েছে ১৩১তম স্থানে, পাকিস্তান ১৫৩তম স্থানে। বাংলাদেশ যে দৃষ্টিকাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তা টেকসই উন্নয়নে পরিণত করতে ধনী-গরিবের পার্থক্য কমাতে হবে। স্থিতিশীলতার স্বার্থে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে হবে। স্বাধীনতার সুফল কয়েক হাজার বা কয়েক লাখ নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের সবার হাতের নাগালে আনতে হবে। বৈষম্য কমানোর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা যেমন সময়ের দাবি, তেমন টেকসই উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর