বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রুখতে হবে

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার দেরিতে হলেও সচেতন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাঁচ কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে সরকার, যেখানে পণ্যের সাপ্লাই চেন স্বাভাবিক রাখা এবং ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে যাতে স্থানীয় বাজার অস্থিতিশীল না হয়ে ওঠে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে বাণিজ্য সচিবকে প্রধান করে একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে। সরকার যে পাঁচ কৌশলে বাজার সামলানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেগুলো হলো- আমদানি পণ্য দ্রুত ছাড় করতে বন্দর ও কাস্টমসকে নির্দেশনা। পণ্যবাহী ট্রাক চাঁদাবাজমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় রাখা এবং পণ্য পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া। আন্তর্জাতিক বাজারদর মনিটরিং করে জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন। বাজার মনিটরিংয়ে ডিসি-ইউএনওদের সক্রিয় রাখা। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুদদারির বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি। সন্দেহ নেই রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের রেকর্ড সমীহ করার মতো। কিন্তু এ বছর রোজার অনেক আগে থেকে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে ২০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে তাতে রোজার সময় পণ্যমূল্য সহনশীল রাখার বিষয়টি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। অবস্থা এমনই যে মূল্যবৃদ্ধির অপকৌশল মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে মানুষের সহ্যের সীমা অতিক্রান্ত হতে পারে। যা কারোর মঙ্গল ডেকে আনবে না। আমরা আশা করব মুনাফা বৃদ্ধির কলকাঠি যারা নাড়েন তারা শুধু নয়, সরকার গঠিত টাস্কফোর্সসহ পুরো প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে রোজার মাসের পরিবহন চাঁদাবাজির ইতি ঘটাতে কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর