রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বাগত রমজান

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করুন

একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যখন মানব জাতির জন্য শঙ্কা সৃষ্টি করছে তখন মাহে রমজান আমাদের মধ্যে হাজির হয়েছে মহান আল্লাহর কৃপা অর্জনের সুযোগ হিসেবে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ পবিত্র মাসে আমরা আল্লাহর দরবারে করোনা মহামারি ও যুদ্ধ-হানাহানি থেকে মানব জাতিকে রক্ষায় আকুতি জানাব। আল্লাহ যাতে তাঁর রহমতের ভাণ্ডার খুলে দেন সে প্রত্যাশায় সিয়াম সাধনায় ব্রতী হব। আল্লাহতে সমর্পিত হওয়ার এ মাস ভোগবিলাস, অপচয় ও অসংযমের পথ থেকে মানুষকে দূরে থাকার শিক্ষা দেয়। সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য রচনাকারী আল কোরআন নাজিল হয়েছিল মহিমান্বিত এ মাসে। আত্মসংযমের মাধ্যমে বিশ্বাসীরা যাতে ইন্দ্রিয়, আত্মিক উভয় দিক থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানে নিয়োজিত হয় সে উদ্দেশ্যে সব সুস্থ ও সাবালক নর-নারীর জন্য সিয়াম সাধনাকে অবশ্যপালনীয় ইবাদত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বাসী মানুষ এ মাসে যা কিছু অকল্যাণকর তা পরিত্যাগ করে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের প্রয়াস পায়। লোভ-ভোগবিলাসিতা ও অসংযমের কারণেই যুদ্ধের উদ্ভব হয়। মহামারি থাবা বিস্তার করে মানুষের অসংযমী আচরণে। রমজানে অসংযমী হওয়ার প্রবণতা থেকে সরে এসে আমরা নিজেদের আল্লাহর রহমতের যোগ্য করে তুলব। নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রোজাদারদের কষ্টের মুখে ঠেলে দেওয়া সামাজিক দৃষ্টিতে যেমন গর্হিত, ধর্মীয় দিক থেকেও অপরাধ। প্রতি বছরই মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ান অসৎ ব্যবসায়ীরা। ধর্মীয় দৃষ্টিতে তা যেমন গুনাহ, আইনের দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে তার ওপর সরকারের সুনামও নির্ভরশীল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও রমজান উপলক্ষে সাহরি ও ইফতারে ব্যবহৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধি দুর্ভাগ্যজনক। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। রোজাদারদের স্বচ্ছন্দ বাড়াতে দায়িত্বশীলরা সক্রিয় হলে তাঁরা যেমন ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করবেন তেমন আল্লাহর রহমতও নিশ্চিত হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর