একদিকে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় অন্যদিকে এক কোটি নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য সরবরাহ বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। দুই দিনের ব্যবধানে চাল, চিনি, ছোলা, ডালসহ প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ার বদলে কিছুটা হলেও কমেছে। টিসিবির উদ্যোগে ব্যাপকহারে ট্রাকসেল শুরু হওয়ায় নিম্নবিত্তের পাশাপাশি নিম্নমধ্যবিত্তরাও লাইন দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনছে। গত শনি ও রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির লাইনে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষই ছিল সে লাইনে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে রমজানে এক কোটি হতদরিদ্র পরিবারকে এবার টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে পিঁয়াজ, তেল, ডাল, চিনি, খেজুর ও ছোলা দিচ্ছে সরকার। প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে দুবার। বাণিজমন্ত্রীর মতে, এক কোটি কার্ড মানে প্রতি পরিবারে পাঁচজন সদস্য হলে পাঁচ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকারভোগী হবেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের ৫৭ লাখ ১০ হাজার ‘উপকারভোগী’ পরিবারের মধ্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি করতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ করা হয়েছে। করোনার সময় ৩০ লাখ পরিবারের নগদ সহায়তার ডাটাবেজের সঙ্গে এ ৫৭ লাখ ১০ হাজার ‘উপকারভোগী’ পরিবার যোগ করা হয়েছে। বলা যায় দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা সবাই এ সুবিধা পাবেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের করাল থাবা পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থার শৃঙ্খলায় আঘাত হেনেছে। পরিণতিতে গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে দুনিয়াজুড়ে পণ্যের দাম শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। নিম্নআয়ের লোকদের জন্য সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরবরাহ সংকট নিরসনে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। তবে তা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।