বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে

আট লেনে সম্প্রসারণ জরুরি

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে বলা হয় দেশের অর্থনীতির নাভি। দেশের আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগ পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয় এ হাইওয়ে। কিন্তু ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যানবাহনের ভিড় থাকায় যানজট এ সড়কের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের অচলাবস্থা কাটাতে এ মহাসড়ক আট লেনে সম্প্রসারণের পক্ষে মত রেখেছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনের পাশাপাশি এক্সপ্রেস লেনও দরকার। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে এক্সপ্রেস লেন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এর মধ্য দিয়ে শুধু সরাসরি পণ্য পরিবহন নয়, রোগী স্থানান্তর, জরুরি সেবাসহ সামগ্রিক কার্যক্রমে গতি আসবে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ঘিরে নেওয়া মেগা প্রকল্পসহ নানা কারণে চট্টগ্রামে মানুষের গমনাগমন বাড়ছে। বাড়ছে যানবাহনসহ পণ্য পরিবহন। কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পায়ন ও শহর সম্প্রসারণ হলে, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চাপ অভাবনীয়ভাবে বাড়বে। বর্তমানে এ মহাসড়কে যানবাহন ও পরিবহনের আধিক্যের কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খাদ্যপণ্যসহ জরুরি পণ্য পরিবহনে মহাজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে উঠছে। চার লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে সম্প্রসারণ সম্ভব না হলে বিকল্প আরেকটি চার লেনের সড়ক তৈরিতে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি মহাসড়কে যেসব কারণে যানজট হচ্ছে সেগুলোর দিকেও নজর দেওয়া দরকার। যানজটের পেছনে চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলসহ অনেক কারণ জড়িত।

দেশের অর্থনীতির প্রধান পথ চালু রাখতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলোর অবসান ঘটাতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমাতে মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহারেও উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর