বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক চাঁদাবাজি

কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে

মাহে রমজানের সঙ্গে ঘুষ ও চাঁদাবাজির দূরতম সম্পর্ক নেই বা থাকার কথা নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশ মাহে রমজান এলেই ইবলিশের বরপুত্ররা প্রতিটি সরকারি অফিসে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এমনিতে ঘুষ ছাড়া সরকারি অফিসে সেবা পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই অকল্পনীয়। রমজানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সিংহভাগ অংশ নিজেদের ঘুষ-উৎকোচের দাস বলে ভাবেন তারা ঈদ সামনে রেখে বাড়িয়ে দেন ঘুষের হার। পাড়ামহল্লার মাস্তান ও রাজনৈতিক টাউটদের চাঁদাবাজিও বেড়ে যায় মাহে রমজানে ঈদ সামনে রেখে। চাঁদাবাজির পাঁয়তারায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে কারও চেয়ে পিছিয়ে থাকেন না, তা একটি ওপেন সিক্রেট। তবে স্বস্তির কথা হলো রমজান ও আসন্ন ঈদ কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী কোনো গাড়ি থামানো যাবে না বলে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ফেব্রুয়ারি-২০২২-এর মাসিক অপরাধ পর্যালোচনাসংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার, দাঙ্গা, অপহরণ, পুলিশ আক্রান্ত, সিঁধেল চুরি ও চুরিসংক্রান্ত মামলা জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে কমেছে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়। তবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা গত বছরের একই সময় অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির তুলনায় অনেক কমেছে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দফতরের এ কড়া অবস্থান অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে এ প্রশংসা সংশ্লিষ্টদের কথা ও কাজের মধ্যে মিল থাকার ওপর নির্ভর করছে। সে বিষয়টি নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর