শিরোনাম
শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সামাজিক অপরাধ

শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য চাই সবার সচেতনতা

কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, অহংকার, পরশ্রীকাতরতা মানুষের রিপু হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে বহুকাল থেকে। সব জাতি ও সমাজের মানুষের মধ্যেই তা বিদ্যমান। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও দর্শনে যেসব জাতি অতি উন্নত তাদের মধ্যেও ক্রোধের বশে খুন-খারাবি ও শারীরিক সহিংসতার প্রবণতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম নানা মাত্রায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি ইতিবাচক ঘটনার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ, অনৈতিকতা, সন্ত্রাস ও অবক্ষয়ের মতো নেতিবাচক দিকগুলোও যথেষ্ট ব্যাপক; যা নষ্ট করে দিচ্ছে ইতিবাচক অর্জন। শিক্ষায়তন থেকে পেশাগত কর্মস্থল পর্যন্ত সর্বত্র এ ব্যাধির বিস্তার। উন্নয়নশীল বিশ্বে অপরাধপ্রবণতা অধিক। বিশেষ করে খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতির মতো সামাজিক অপরাধ। এর প্রধান কারণ আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকা, মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়া, রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকা ইত্যাদি। এ মুহূর্তে দেশে বিগত দিনের চাইতে সামাজিক অপরাধ অনেক গুণ বেড়েছে বলে সমাজবিজ্ঞানীরা মতপ্রকাশ করেছেন। প্রতিদিন পত্রপত্রিকা খুললেই আমরা দেখতে পাই হত্যা-ছিনতাইয়ের সংবাদে সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা ভরে আছে। সম্প্রতি রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রথমে বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম, এরপর স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়েছেন এক ব্যক্তি। বাগেরহাটের রামপালে ধান খেতে হাঁস যাওয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার পর প্রতিপক্ষের হামলায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ফরিদপুর শহরতলির ধুলদি রেলগেট বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের একটি দল। এ সময় তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ক্যাশবাক্স থেকে ৬ লাখ টাকা লুটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নারী ও শিশু ধর্ষণও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। এরও একটি বড় অংশের সঙ্গে অর্থনৈতিক হতাশা রয়েছে। মাদকাসক্তি ও মাদকাসক্তি থেকে উদ্ভূত অপরাধের পেছনেও বড় ভূমিকা রয়েছে অর্থনৈতিক হতাশার। সুতরাং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করতে চাইলে সবার সচেতনতা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর