শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ধান নিয়ে দুশ্চিন্তা

স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক

উজানের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের হাওর ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধগুলোয় পানির চাপ বেড়েছে। সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ঢলের পানির চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এসব উপজেলার অন্তত ৩৫টি স্থানে ফসলরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। একটি বাঁধে একাধিক স্থানও ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে তাহিরপুরের ছয়টি, ধর্মপাশার ছয়টি, শাল্লার তিনটি, জগন্নাথপুরের ১০টি, বিশ্বম্ভরপুরের তিনটি, জামালগঞ্জের তিনটি, সদরের দুটি, দিরাইর একটি ও দোয়ারাবাজারের একটি স্থানের বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব স্থানে কোথাও ধস, কোথাও ফাটল ও চিড় ধরেছে। তবে তাৎক্ষণিক সংস্কারকাজও চলছে। ডুবে গেছে ফসলের অনেক জমি। আরও জমি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা। তাই আধাপাকা ধান কেটে বাড়ি আনছেন কৃষক। এক সপ্তাহ পরই সুনামগঞ্জের হাওরের ধান পাকার কথা। ফসল তোলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা কৃষকের। তবে এখন তাঁদের ব্যস্ততা ফসলরক্ষা বাঁধ বাঁচাতেই। দিনরাত স্বেচ্ছায় কাজ করছেন। তবু ফসল বাঁচবে কি না অনিশ্চিত। এ অবস্থায় জেলার ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৫টি কৃষক পরিবার দুশ্চিন্তায়। সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০৮ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে। অন্যদিকে মোট ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। ১৩৭টি হাওরসহ কৃষির সঙ্গে জেলার ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৫টি পরিবার জড়িত। হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাও বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে। শুধু বাঁধ দিয়ে ফসলরক্ষা হবে না, বাঁধের সঙ্গে নদ-নদী ও খাল খনন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর