রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ছিনতাইকারীদের দাপট

মাদকবিরোধী লড়াইও জোরদার করুন

রাজধানীতে ছিনতাই হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ভয়ে টাকা-পয়সা কিংবা মূল্যবান কোনো জিনিস নিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঈদ সামনে রেখে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। সশস্ত্র ছিনতাইকারী চক্র ছিনতাই কাজে ব্যবহার করছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল। এদের টার্গেট ভ্যানিটি ব্যাগ, হাতব্যাগ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসেট। শতাধিক ছিনতাই স্পটে প্রায় ৬০০ ছিনতাইকারী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো রাজধানী। এদের কেউ অজ্ঞান পার্টি, কেউ মলম পার্টি, কেউ আবার সালাম পার্টির সদস্য। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলায়ও সর্বস্ব লুটে নিয়ে মুহূর্তে সটকে পড়ছে ছিনতাইকারী দলের সুসংবদ্ধ সদস্যরা। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা আতঙ্কিত করে তুলেছে নগরবাসীকে। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বোদ্ধাজনেরা। রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে প্রায়ই ঘটছে বেপরোয়া ছিনতাই। যখন তখন প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। অনেকে আবার আহত হয়ে বইয়ে বেড়াচ্ছে করুণ পরিণতি। ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারানো বা জখমের শিকার মানুষের সংখ্যা কম নয়। ছিনতাইয়ের কবল থেকে মন্ত্রী কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও রক্ষা পাচ্ছেন না। ২৭ মার্চ মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় স্বনামধন্য দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুল ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান। ঢাকা মহানগর পুলিশসূত্রের তথ্যানুযায়ী ডিএমপির উত্তরা বিভাগে ৫২, মিরপুর বিভাগে ৫৬, গুলশান বিভাগে ৯৭, রমনা বিভাগে ১১৬, তেজগাঁও বিভাগে ১২২ ও ওয়ারী বিভাগে দেড় শতাধিক ছিনতাইকারী সক্রিয়। এর বেশির ভাগই মাদকসেবী। ছিনতাই দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেমন কঠোর হতে হবে, তেমন মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধেও আঘাত হানতে হবে শক্তভাবে। ছিনতাইয়ের সঙ্গে মাদকাসক্তির সম্পর্ক থাকায় মাদকবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর