করোনাঘাতে প্রথম বছর বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় বছর পবিত্র হজব্রত পালিত হয়েছে গুটিকয়েক হাজির প্রতীকী অংশগ্রহণের মাধ্যমে। এ বছর আনুষ্ঠানিকভাবে বড় পরিসরে হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১০ লাখ হজযাত্রী এ বছর হজ পালনের অনুমতি পাবেন। তবে তাদের বয়স হতে হবে ৬৫ বছরের নিচে। পাশাপাশি সৌদি আরবের টিকাদান কর্মসূচিতে যেসব টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার, সেগুলোর কোনো একটির দুই ডোজ নেওয়ার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। অনুমোদিত হজ যাত্রীদের অবশ্যই সৌদি আরবের উদ্দেশে বিমানে ওঠার অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে করোনার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। টেস্টে নেগেটিভ সনদ পেলেই কেবল সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। হজ পালনের সময় প্রত্যেক হজযাত্রীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং এ বিষয়ে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। মহামারির প্রথম বছর, ২০২০ সালে দেশি-বিদেশি কোনো ব্যক্তিকে হজের অনুমতি দেয়নি সৌদি সরকার। পরের বছর ২০২১ সালে কেবল সৌদি আরবের নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি মুসল্লিদের হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ করেছেন। মহামারির আগের বছর হাজির সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি ছিল।  হজ অবস্থাপন্ন মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত। সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মানুষ হজব্রত পালনের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে অনেকে এ জন্য প্রস্তুতি নেন বছরের পর বছর ধরে। বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ হজব্রত পালন করেন। করোনার কারণে হজ পালন বিঘ্ন হওয়ায় অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। আশা করা যায় চলতি বছর তাদের একাংশ হজ পালনের অনুমতি পাবেন। নানা কারণে চলতি বছর হজ পালনের খরচ বেড়ে গেলেও শেষ হবে হজযাত্রীদের অপেক্ষা।