বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

টঙ্গী-গাজীপুর সড়ক

দীর্ঘসূত্রতার অবসান হোক

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের টঙ্গী-গাজীপুর অংশ যেন দীর্ঘসূত্রতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। জনপ্রতিনিধিরা এ দীর্ঘসূত্রতায় বিরক্ত প্রকাশ করলেও অজ্ঞাত কারণে ততটা সরব নন। আর জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা বেতন-ভাতা পান তারা অজুহাত খাড়া করতেই ব্যস্ত। সাধারণ যাত্রী ও গণমানুষের স্বার্থ দেখার কেউ না থাকায় নয় বছরেও শেষ হয়নি মাত্র ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ। টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার নিয়ে যাত্রীসাধারণের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর ১৫-২০ মিনিটের রাস্তা হলেও অতিক্রমে লাগছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আসছে ঈদেও ভয়ানক ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন সড়কের ধুলাবালিতে বায়ুদূষণ শুধু নয়, পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে থাকছে। টঙ্গী-গাজীপুর সড়কে যানজট দেখা দিলে এর প্রভাব রাজধানী ঢাকায়ও ছড়িয়ে পড়ছে। বিআরটি প্রকল্পের সড়ক সংস্কারের কাজ কবে শেষ হবে তা বলার কেউ নেই। একদিকে বিআরটি প্রকল্প অন্যদিকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতিতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর স্বার্থ। মহাসড়কে জায়গা দখল করে অসংখ্য দোকানপাট যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়কের টঙ্গী ও জয়দেবপুর অংশে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তির শিকার তেমনি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতারা নির্দিষ্ট সময়ে কারখানা ভিজিটে আসতে না পারায় তারাও ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রকল্পের বাস্তবায়নে সময় ক্ষেপণ ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসৎ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে ঠিকাদারদের যোগসাজশে প্রায় প্রতিটি প্রকল্পের ব্যয় সময় বৃদ্ধির অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে। উন্নয়নের সুফল পেতে দেরি হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার কঠোর না হলে নজরকাড়া উন্নয়ন করেও মানুষের আস্থা ধরে রাখা কঠিন হবে। যে বিষয়ে সময় থাকতে সতর্ক হওয়াই হবে বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর