শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ডায়রিয়ার প্রকোপ

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন

দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে ডায়রিয়ার রোগী। যে কোনো বয়সী ব্যক্তিই আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি। ডায়রিয়ায় শিশুদের দেহ দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ডায়রিয়া খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। দুই বছরের নিচের শিশুর ডায়রিয়ার প্রধান কারণ রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। এ ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতায় শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে, প্রস্রাব কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে। ডায়রিয়ার প্রকোপ রুখতে রাজধানী ঢাকায় কলেরার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ঢাকার বাইরে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ জন। এর বেশির ভাগ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা-পুরুষ। সারা দেশের ডায়রিয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলায় মোট ৫৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে একজন করে ডাক্তারসহ তিন-চার জনকে ডায়রিয়া রোগীর বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে হটলাইন। ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়ান। খাবার ও পানি ঢেকে রাখুন। পানি কমপক্ষে আধঘণ্টা ফুটিয়ে খাওয়ান। ফোটানো পানি দিয়ে শিশুর হাত, মুখ ধোয়াবেন, গোসল করাবেন, বাটি, চামচ ধুয়ে নিন। এ মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। খাওয়ার স্যালাইন সহজলভ্য করা প্রয়োজন। সংবাদমাধ্যম, বিশেষত বেতার-টিভি ডায়রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটা তাদের করা উচিত। অভিভাবকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে শিশুদের ব্যাপারে, কারণ শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, অসহায়ত্ব তাদেরই বেশি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর