শিরোনাম
রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

শিক্ষা প্রকল্পে স্থবিরতা

অযোগ্যদের চিহ্নিত করুন

বলা হয় একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ধর্মের ষাঁড়ের মতোই বেপরোয়া তাঁরা। দায়িত্ব পালন নয়, মাস শেষে বেতন-ভাতা পাওয়াকেই একমাত্র কর্তব্য ভাবেন। ফাইল চালাচালি যেটুকু করেন তার পেছনে থাকে উৎকোচ নামের ¯িপ্রটমানির ভূমিকা। শিক্ষা অধিদফতরের কাজকর্মেও এর অন্যথা হওয়ার কথা নয়। আর সে কারণেই শিক্ষার বিভিন্ন প্রকল্পে বাসা বেঁধেছে স্থবিরতা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর চলার পরও কোনো কোনো প্রকল্পের মেয়াদ শেষে দেখা গেছে, ১০ শতাংশ অগ্রগতিও নেই। আবার পুরো এক অর্থবছরেও কোনো কোনো প্রকল্পের মোট এডিপি বরাদ্দের ১ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতিও হয়নি। শিক্ষাবিদদের মতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, অদূরদর্শিতা আর অযোগ্যতার কারণেই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অগ্রগতি হচ্ছে না। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অধীন নয়টি বিনিয়োগ প্রকল্প ও একটি কারিগরি সহায়তা পর্যালোচনায় যাচ্ছেতাই অবস্থার চিত্র উঠে এসেছে। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মাউশি অধীন মোট ১০ প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে  ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যা মোট এডিপি বরাদ্দের ৫১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কিন্তু এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৭৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা মোট এডিপি বরাদ্দের মাত্র ২৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। সে মেরুদন্ড সোজা করতে চলমান প্রকল্পগুলো অবদান রাখবে এমনটিই আশা করা হয়। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অযোগ্যতা এবং দায়বোধের অভাবে চলমান প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। প্রকল্প পরিচালকদের অনভিজ্ঞতায় ব্যর্থতা অনিবার্য হয়ে উঠছে। তাদের চিহ্নিত করে অপসারণ করা জরুরি।

সর্বশেষ খবর