সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদেশে কর্মসংস্থান

শ্রমবাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাণভোমরা হিসেবে বিবেচিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয়। গত অর্ধ শতাব্দীতে বাংলাদেশ যে নজরকাড়া উচ্চতায় উপনীত হয়েছে তার পিছনেও রয়েছে প্রবাস থেকে আসা শ্রমজীবীদের অবদান। বিদেশে কর্মজীবী হিসেবে লব্ধ জ্ঞানে তারা দেশে গড় তুলেছেন নানা প্রতিষ্ঠান। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, দেশের শ্রমবাজার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের শ্রমবাজার ঘুরে ফিরে সৌদি আরবনির্ভর হয়ে পড়ছে। গত বছরে বিদেশে কর্মসংস্থানের ৭৪ শতাংশ হয়েছে সৌদি আরবে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ৬৪ শতাংশই গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে। বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য নতুন নতুন শ্রমবাজারের কথা বলা হলেও তা আসলে প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ। সিদ্ধান্তহীনতায় এখনো আটকে রয়েছে বন্ধ হয়ে থাকা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার দরজাও। বিশ্বের ছোট বড় মিলিয়ে ১৬৮ দেশে বাংলাদেশিদের শ্রমবাজারের কথা বলা হয়। কিন্তু এর মধ্যে বেশির ভাগ দেশেই চাহিদা না থাকা ও অন্যান্য কারণে নিয়মিত কর্মী পাঠানো সম্ভব হয় না। মূলত হাতে গোনা ছয়টি দেশেই কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। এর মধ্যে আক্ষরিক অর্থে সৌদি আরবই এখন বাংলাদেশের জন্য বড় শ্রমবাজার হয়ে রয়েছে। এর বাইরে মাঝারি মানের চাহিদা রয়েছে ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার ও জর্ডানে। অল্প কিছু কর্মজীবী যাচ্ছেন মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও লেবাননে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের ধারা বজায় রাখতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মোচনের উদ্যোগ নিতে হবে। মালয়েশিয়ার দিক থেকে আগ্রহ দেখানো সত্ত্বেও নিজেদের ভুলে সে সুযোগ নষ্ট হলে তা হবে আত্মহননের শামিল। পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোতে শ্রমবাজার খোঁজার দিকেও নজর দিতে হবে। ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর কথাও মনে রাখতে হবে সচেতনভাবে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জমি লিজ নিয়ে কৃষিপণ্য ফলানো যেতে পারে। তাতেও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর