মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ডলারের দাম বাড়ছে

পণ্যের দামে অপপ্রভাবের আশঙ্কা

ডলারের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বিপরীতে হ্রাস পাচ্ছে টাকার মূল্য। দেশের খাদ্যপণ্যের এক বড় অংশই আমদানিনির্ভর। ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও বিদেশনির্ভরতা কম নয়। এর বাইরে রয়েছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির খাত। খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম এখন ৯১ টাকা ৮০ পয়সা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী রবিবার প্রতি ডলারের কেনা ও বেচার মূল্য ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। সংকট সামাল দিতে প্রায় দিনই ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাধারণত ডলারের দাম বাড়লে রেমিটার ও রপ্তানিকারকরা লাভবান হন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারক ও সাধারণ মানুষ। কারণ ডলারের দাম বাড়লে পণ্যমূল্যও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। রপ্তানি আয়ে ধীরগতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের নিম্নমুখিতার মধ্যে আমদানিতে গতি আসায় অনেক ব্যাংকে দেখা দিয়েছে ডলার সংকট। ফলে কিছুদিন ধরে ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে খোলাবাজারে চড়েছে ডলারের দাম। খোলাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে এখন খরচ হচ্ছে ৯১ টাকা ৮০ পয়সা। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে একই জায়গায় স্থির ছিল ডলারের দর। ৫ আগস্ট টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বিবেচিত হচ্ছে। করোনায় দুই বছর অবরুদ্ধ থাকার পর দেশের অর্থনীতি যখন পাখা মেলার স্বপ্ন দেখছে সেই মুহূর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী করে তুলেছে। চলতি বছর আগাম বন্যায় ফসলহানি হওয়ায় বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির প্রয়োজন হবে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানিকৃত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই ডলারের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে হবে। দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধেও নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর