সামান্য ঘটনা কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা অপ্রত্যাশিতই শুধু নয়, দুর্ভাগ্যজনক। সোমবার রাতে খাবার খেতে এসে তিন শিক্ষার্থী দাম কম দিতে চাইলে আপত্তি জানান খাবারের দোকানের কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের তুমুল বিতর্কের একপর্যায়ে খাবার দোকানের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থীরা আহত হন। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ভাঙচুর চালান। এরপর ব্যবসায়ী ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দেয়। পরে রাতে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। শেষ পর্যন্ত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতের সংঘর্ষের সময় আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে মোশাররফ হোসেন নামে ম্যানেজমেন্ট চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে রাখা হয় স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পরদিন মঙ্গলবার মানববন্ধনের নামে রাস্তায় জড়ো হলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিণতিতে প্রাণ হারান এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের দোকানকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাহিদ হাসান নামে ওই তরুণ। তিনি ডি লিংক নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারিম্যানের চাকরি করতেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। খাবারের দোকানে খাবার খেতে গিয়ে দোকানকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়া কোনোভাবেই সুমতির পরিচয় নয়। একইভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলে পড়ার মধ্যেও রয়েছে অসুস্থ ও বর্বর মানসিকতা। আমরা আশা করব ঘটনার দায় যাদের, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।