শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা মূর্খতার নামান্তর

মো. সাহাবুদ্দিন চুপপু

বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা মূর্খতার নামান্তর

হঠাৎ করেই অপাঙ্ক্তেয় একটি বিষয়কে প্রাসঙ্গিক করে তোলার চেষ্টা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। শিরোনাম দেখে বিদগ্ধ পাঠক মহল ইতোমধ্যে বুঝে নিয়েছেন, বিষয়টি কী? হ্যাঁ, ‘অর্থনৈতিক মন্দায় সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশকে শিক্ষা নিতে হবে’- মোটা এ টপিক কেন্দ্র করেই ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন আমাদের বিরোধী পক্ষরা। থেমে নেই সুশীলসমাজের তথাকথিত প্রতিনিধিরাও। তাঁরাও ঐশ্বরিক তথ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির মিল খুঁজে বেড়াচ্ছেন; যা আদতে যুক্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত। সমালোচনা অবশ্যই ইতিবাচক। এর ভালোমন্দ দুটি দিকই আছে। সমালোচনা যেমন মানুষের ভুল শুধরে দেয়, তেমনি তা অনেক সময় এমন পর্যায়ে চলে যায় যাকে ধ্বংসাত্মক এমনকি ক্ষেত্রবিশেষ গালিগালাজ বলা ছাড়া উপায় থাকে না। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশকে জুড়ে এমন সমালোচনাতেই মেতে উঠেছেন কেউ কেউ। তাঁরা ভালোই জানেন শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। মাত্র এক বছর আগে যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ সুবিধা দিয়েছে, সেই বাংলাদেশকে কীভাবে শ্রীলঙ্কার সমপর্যায়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে, সেটাই বোধগম্য নয়। তা ছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার এ ভঙ্গুরদশা এক দিনে হয়নি। বছরের পর বছর নেওয়া ভুল ইকোনমিক পলিসির ফল তাদের এ সংকটাপূর্ণ অবস্থা। অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কেবল একটি বিষয় ঘিরে নয়। পোশাকশিল্প, রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, প্রধান খাদ্যপণ্যে স্বনির্ভরতা আমাদের অর্থনীতির শক্তিশালী দিক। বাংলাদেশের কিছুটা ঋণ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু তা পরিশোধের সক্ষমতাও রয়েছে। বাংলাদেশের তরফে বিদেশি ঋণ খেলাপের কোনো অতীত ইতিহাস বা নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে প্রথম থেকে খুব সাবধানী। যেমন সুদের হার নির্দিষ্ট হারের নিচে রাখা কিংবা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এককালীন পরিশোধের পরিবর্তে একাধিক কিস্তিতে পরিশোধসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যে অবস্থা শ্রীলঙ্কার নেই। আর এ কারণেই তাদের মরণদশা, দেউলিয়াপনা। সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে যথার্থই বলেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘শুধু ঋণ নয়, বিনিয়োগও খুব হিসাব করে নেয় বাংলাদেশ। আমরা উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা নিচ্ছি, এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের একটা হিসাব থাকে। আমরা কিন্তু ডিফল্টার না। যেখান থেকে যত ঋণ নিয়েছি, প্রত্যেকটা ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেছি। করোনার মাঝেও আমরা কিন্তু ঋণখেলাপি হইনি।’ প্রধানমন্ত্রী এ-ও বলেছেন, ‘আমাদের এ হিসাবটা আছে বলেই আমাদের শ্রীলঙ্কা বানানো সহজ হবে না। তবে আমাদের ওপরও চাপ আসবে, ও রকম কথা আসবে। আমরা যদি সতর্ক থাকি তাহলে কেউ আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। ... কে কী বলল, কে কী চিন্তা করল- এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।’ এই হলো বাংলাদেশ ও এর অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট ভাবনা।

সংক্ষেপে তুলনামূলক একটি পর্যালোচনা করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ ২৯২.২১ ডলার। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার ১ হাজার ৬৫০ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পেয়েছে ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার, যেখানে শ্রীলঙ্কা পেয়েছে মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার। ওই সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৮.৭৫ বিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি; যেখানে শ্রীলঙ্কার মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার ঋণের হার জিডিপির ১১৯ শতাংশ। সে হিসেবে এক বছরে যত পণ্য উৎপাদন করে এবং সেবার মাধ্যমে আয় করে, তার তুলনায় ঋণ বেশি। শ্রীলঙ্কার ঋণের ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ডে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ঋণ ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, জাপানের কাছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং চীনের কাছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। আইএমএফের তথ্যমতে চলতি বছর শ্রীলঙ্কাকে সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি ডলার ঋণের দায় পরিশোধ করতে হবে। অথচ বর্তমানে মাত্র ২৩১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ শ্রীলঙ্কার হাতে রয়েছে। সুতরাং ঋণ পরিশোধ দূরের কথা, দৈনন্দিন কাজ চালাতেই নতুন আরও ঋণ নিতে হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের কাছ থেকেও ২৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে শ্রীলঙ্কা। যদিও সে ঋণ আবেদনের আরজি নাকচ করেছে বাংলাদেশ সরকার। কারণ গত বছর নেওয়া ঋণই এখন পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে উভয় দেশের অর্থনীতি বিশ্লেষণ করলে এমন একটি খাতও নেই যে খাতের জেরে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের পাশে রাখা যায়।

শ্রীলঙ্কার রাজস্বের বড় অংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। করোনায় পর্যটকদের ভ্রমণ না থাকায় দুই বছর ধরে সে খাত বন্ধ। যদিও পর্যটক আকৃষ্টে গৃহীত নানা প্রকল্পে আগে নেওয়া বিদেশি ঋণের কিস্তি ঠিকই পরিশোধ করতে হয়েছে। শিল্পোৎপাদনে ধস নেমেছে, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স তলানিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি কর ও ভ্যাট কমানো, কৃষিতে রাসায়নিকের ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনার কারণে উৎপাদনে ঘাটতি হয়েছে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বারবারের ভুল হিসাবে এমন দশায় পৌঁছেছে দেশটি। অথচ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অতীত ও বর্তমান শাসনামল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এমন একটি প্রকল্পও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে বিদেশি ঋণ আছে কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ লাভবান হয়নি। যমুনা সেতুসহ নিকট অতীতের সব বড় প্রকল্পে এটিই লক্ষ্য করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য- ‘প্রত্যেকটা পরিকল্পনা (বিদেশ সহায়তা প্রকল্প) নেওয়ার সময় এটাই হিসাব করি, এই কাজটা করলে পরে কতটুকু আমার দেশের মানুষ পাবে, কতটুকু আমার অর্থনীতিতে যোগ হবে, অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী হবে। মানুষের কল্যাণে কতটুকু দিতে পারব, করতে পারব। সেই বিনিয়োগটাই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে যে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে আমার দেশ লাভবান হবে। একটা বিনিয়োগ এলো, আর একটা বিশাল বিশাল কিছু তৈরি করে দিয়ে গেল, তো সেটা আমার কোনো কাজে লাগল না। সেখানে আমরা একটু ধীরে চলি।’ আগামীতে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য পদ্মা সেতু প্রকল্প, ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এগিয়ে চলা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জাপান সরকারের অর্থায়নে হওয়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চার লেনের সড়ক, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের অধিক হাইটেক পার্কসহ প্রকল্প লাভজনক তো হবেই, বরং নির্মাণের চেয়ে ঢের বেশি পরিমাণ রাজস্ব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যোগ করবে। সেই পরিকল্পনা সামনে রেখেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এসব প্রকল্পের বাইরেও সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়নে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এসব ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ বাড়বে, সম্পর্কেরও উন্নতি হবে। আমাদের বিশ্বাস- এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে পরবর্তী টার্মে আওয়ামী লীগ যখন তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে, তখন কতটা বদলে যাবে বাংলাদেশ- সেই ধারণা সম্ভবত আমরা কেউই করতে পারি না।

দুই. আজ যখন বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি মেলানোর চেষ্টা চলছে, তখন স্বভাবতই একটা প্রশ্ন আসে- ৫০ বছরে বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে? একসময় যাকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল দেশগুলোর একটি। তথ্য বলছে, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১০০ ডলারও ছিল না। ১৯৭২-৭৩ সালে জিডিপির আকার ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার। স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের মাথাপিছু আয় যেখানে ছিল ৯৪ ডলারের মতো, সেখানে ১৯৭৫ সালে মাথাপিছু আয় প্রায় তিন গুণ বেড়ে ২৭৩ ডলারে দাঁড়ায়। বর্তমানে এর পরিমাণ ২ হাজার ৫৯১ ডলার। খুব বেশি দূর যেতে হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে অর্থাৎ ২০০৮-০৯ অর্থবছরেও জিডিপির আকার ছিল মাত্র ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সে আকার ৪১৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। টাকার অঙ্কে জিডিপির পরিমাণ ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ২০০ কোটি, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ করোনার মধ্যে বাংলাদেশের অদম্য যাত্রা থেমে ছিল না। আইএমএফের হিসাবমতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য ২০১৫ সালেই আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এবং রপ্তানির পরিমাণ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সমষ্টির চেয়ে বড়। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও দক্ষিণ এশিয়ার এ দুটি দেশের রিজার্ভের সমষ্টির দ্বিগুণ। সম্প্রতি HSB বিশ্ব পর্যালোচনায় ৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬ ধাপ এগিয়ে ২৬তম অর্থনৈতিক দেশ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিচার্জের (CEBR)গবেষণায় ২০৩০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে উন্নীত হবে। প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্সের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বে ২৩তম স্থান দখল করবে। অন্যদিকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের ধাপ অতিক্রম করেছে। ১৯৭১-এ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান যে জাতির পরিচয় দিয়েছিলেন, ভিত্তি রচনা করেছিলেন আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এক সুবর্ণলগ্নে সে জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শক্তি দিয়েছেন তাঁরই উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। পিতার অসমাপ্ত কাব্যকে তিনি পরম মমতায় নিজ হাতে সমাপ্ত করে যাচ্ছেন।

তিন. যাঁরা আজ বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করেন, প্রকৃতপক্ষে তাঁরা প্রিয় মাতৃভূমিকে হেয় করতে চান। দিন শেষে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে অস্বীকার করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। এটা দুঃখজনক ও লজ্জার। শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশ বহু দূর। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা হওয়ার দূরতম সম্ভাবনাও নেই। কারণ অর্থনীতির সব সূচকেই বাংলাদেশ খুবই ভালো অবস্থায় আছে।

বঙ্গবন্ধুহীন পৃথিবীতে দরিদ্রবিশ্বকে স্বপ্ন দেখানোয় কন্যা শেখ হাসিনা যখন আশা জাগানিয়া সুর তুলেছেন, তাঁর চিন্তা-ভাবনায় মুগ্ধ হয়ে ত্রিদিব দস্তিদাররা যখন তাঁকে ‘আপনিই (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন, মানবিক-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল আর উন্নয়নের মডেল সমাজ গড়ে তুলে বহুত্ববাদী বাংলাদেশের পতাকা মেলে ধরেছেন তখন এমন দেশকে দেউলিয়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনার অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন আমাদের কথিত সুশীল ও বিরোধী পক্ষরা। তাঁদের উদ্দেশে একটাই বাক্য- বাংলাদেশ বাংলাদেশই ছিল, বাংলাদেশই থাকবে; শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা মূর্খতার নামান্তর।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ এবং চেয়ারম্যান, প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ খবর