শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়কে চাঁদাবাজি

এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না

সমস্যাটা প্রায় সারা দেশের; সারা বছরের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশকে বললে পুলিশ মুখস্থ নিয়মে জানায়, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে ‘খোঁজ’ আর নেওয়া হয় না; তাই ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ প্রশ্নও আসে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সবার সামনেই মহাসড়কে চালকদের চাঁদা শিকারিদের খপ্পরে পড়তে হয়। চাঁদা না দিয়ে যান চালাতে গেলে জান যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে হয়। প্রতি বছর ঈদের আগে এ চাঁদা শিকারিদের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের অ্যাকশন চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলেছে, চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে চলমান সংস্কার ও নির্মাণকাজ ঈদের আগে ও পরে মোট ১৪ দিন বন্ধ রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার

দেওয়া এ চিঠিতে সড়ক-মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা, যানজট নিরসন এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও চাঁদাবাজি রোধে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরও অপরাধ, চাঁদাবাজি রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে নিয়মিত চাঁদাবাজি চলছে এবং পুলিশও তা ‘জানতে’ পারছে না। এর সঙ্গে য্ক্তু আছেন ক্ষমতাসীন দলের সদস্যসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ। সামনে ঈদ, তাই মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে তাদের এ বিষয়ে একটু বেশি জানা দরকার। জানা

গেছে, রাজধানী ঢাকা ও আশপাশ এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটে যেসব বাস-মিনিবাস চলাচল করে তার প্রতিটিকে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। এ চাঁদার বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করতে এসব যানবাহনের মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের প্রতিযোগিতা চলে। এ চাঁদাবাজি একটা স্থায়ী ও নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। এর প্রতিরোধে প্রথমেই প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিক পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর