সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

কৃষি শ্রমিক সংকট

যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিন

হাওর এলাকায় আগাম বন্যায় কৃষকের কপাল পোড়ে প্রতি বছর না হলেও মাঝে-মধ্যে। ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের অভাবে নাকাল অবস্থায় পড়ে হতভাগ্য কৃষক। চলতি বছর হাওরের বেশির ভাগ ধান গিলে খেয়েছে আগাম বন্যা। প্রতিটি হাওর এলাকায় চলছে কাঁচা-পাকা ধান কাটার কসরত। কিন্তু কৃষি শ্রমিকের অভাবে সে চেষ্টাও কষ্টকর হয়ে উঠছে। এ বছর আগাম বন্যার কবল থেকে ফসল যতটুকু পারা যায় তা রক্ষায় ধান কাটা শুরু হয়েছে প্রতিটি হাওর এলাকায়। কিন্তু কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে গিয়ে হিমশিম অবস্থার শিকার হচ্ছেন কৃষক। প্রায় প্রতি বছরই ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা কিশোরগঞ্জে আসেন। কিন্তু এবার আগাম বন্যার কারণে অন্যবারের তুলনায় অনেক কম শ্রমিক এসেছেন হাওরে। ইটনা উপজেলার হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল এখনো আধাপাকা। এর পরও ফসলহানির আশঙ্কায় আধাপাকা ধানই কাটছেন অনেকে। জমিতে পানি ঢুকে যাওয়ায় এক দিনের কাজে তিন দিন সময় লাগছে। হাওরের ধান কাটার শ্রমিক বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে অন্যবারের তুলনায় এবার কম এসেছেন। তাছাড়া স্থানীয় যেসব শ্রমিক ধান কাটেন, তাদের বেশির ভাগই নিজের জমির ফসল তোলা নিয়ে ব্যস্ত। জমিতে পানি থাকায় শ্রমিকের মজুরিও বেশি দিতে হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিলের পর থেকে উজানের ঢলে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে হাওরের নিচু জমি। কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জসহ হাওরসমৃদ্ধ সব জেলার চিত্র অভিন্ন। প্রতি বছর ধান কাটার সময় হাওর এলাকায় কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়। কৃষি শ্রমিকের অভাব মোচনে কৃষিতে ব্যাপকহারে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। ধান চাষে কৃষকদের ভর্তুকিও বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর