সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
ভেষজ

কিশমিশ

আফতাব চৌধুরী

কিশমিশ

প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালোরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিশমিশ। মিষ্টি খাবারটি কেবল সুস্বাদু নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যসহ আমাদের এ অঞ্চলে বিশেষ শুষ্ক ফলটির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়েছিল হজম সহায়ক, ওজন বৃদ্ধিকারক ও বলকারক খাবার হিসেবে। কিশমিশ এমনই একটি খাবার যা পানি বা তরল পদার্থের সংস্পর্শে এসে ফুলে যায় এবং এতে পানি প্রবেশ করে। এই বিশেষত্বই একে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহারে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে ৩.৭ গ্রাম গলন-অযোগ্য আঁশ বা ইনলিউবল ফাইবার আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও হজম করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রচুর গদ্বুকোজ ও ফুক্টোজ আছে কিশমিশে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে আড়াই শ ক্যালোরি ধারণ করে। তবে এ কারণে ওজনাধিক্য ও ডায়াবেটিস রোগীদের আবার বেশি কিশমিশ খাওয়া বারণ। ১০০ গ্রাম কিশমিশে যে পরিমাণ লৌহ আছে, তাতে একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ পূরণ করে। রক্তশূন্যতা দূর করতে গর্ভাবস্থায় তাই কিশমিশ খাওয়া উচিত। এ ছাড়া এতে কেটেচিন ও রেসভেরাট্রল নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

               

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর