শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ

টিকিট কালোবাজারির অবাঞ্ছিত ঘটনা

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে নাগরিকের একটা বড় অংশ। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে এ বছর ১ কোটির বেশি মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ কাটাতে কর্মস্থল ছাড়ছে। নাড়ির টানে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এ বছর বাস-ট্রেন-লঞ্চ-বিমানের টিকিটের জন্য যেমন প্রাণান্তকর লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে, তেমন গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। গত দুই বছর করোনার বিধিনিষেধের কারণে মানুষ সেভাবে গ্রামে যেতে পারেনি। এবার কোনো ধরনের বিধিনিষেধ না থাকায় প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ট্রেনের টিকিটের জন্য রেলস্টেশনগুলোয় বাড়িফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল গত কয়েকদিন। তবে এর বিপরীত চিত্র ছিল রাজধানীর গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলোয়। সেখানে অন্য বছরের মতো পর্যাপ্ত যাত্রীর দেখা মেলেনি। সে কারণে বিলম্বে ছেড়েছে প্রতিটি বাস। বাধ্য হয়ে সিট খালি রেখেই অনেক বাস গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। যাত্রীর ভিড় না থাকায় বাসের টিকিট কাটতে বেগ পেতে হচ্ছে না। তবে অন্য সময়ের চেয়ে বাড়তি ভাড়ায় দূরপাল্লার বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে এমন অভিযোগ যাত্রীদের। দক্ষিণবঙ্গগামী দ্রুতি পরিবহনের টিকিট বিক্রেতার ভাষ্য, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, এর পরও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সিট খালি রেখে বাস ছাড়তে হচ্ছে। তবে বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত তাঁদের সব অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীর এক বড় অংশ মাওয়া হয়ে স্ব স্ব গন্তব্যে যাওয়ায় গাবতলীতে ভিড় কম। ঈদে বাড়তি দামে যানবাহনের টিকিট বিক্রির পাশাপাশি যাত্রাপথে ভোগান্তির অভিযোগও রয়েছে। চাঁদাবাজির কারণে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। ফেরিঘাটগুলোয় পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে এ বছর বিপণন শুরু হয়েছে ‘সহজ’-এর মাধ্যমে। টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের বিরুদ্ধে। যা অনাকাক্সিক্ষতই নয়, ঘৃণ্য এক অপরাধ। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর