শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

খেলার মাঠ

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় উদ্যোগ

আন্দোলনের মুখে সরকার কলাবাগানে খেলার মাঠে থানা স্থাপনের উদ্যোগ থেকে সরে এসেছে। বৃহস্পতিবার যখন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পরিবেশবাদীরাও মাঠ রক্ষার দাবিতে কর্মসূচি পালন করছিলেন, সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ রক্ষার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পরই প্রতিবাদ কর্মসূচিটি বিজয় উৎসবে রূপ নেয়। মাঠ রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাই সমস্বরে ঘোষণা করেন, ‘আমরা করেছি জয় আজকে’। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এটা কেবল মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলন-কারীদের জয় নয়, শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠ পাওয়ার যে অধিকার আছে তার স্বীকৃতি। পরিবেশের পক্ষে একটি অবস্থান। বেশ কিছুদিন ধরে কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটি রক্ষার আন্দোলন করছিলেন পরিবেশবিদ ও নগর পরিকল্পনাবিদদের পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দারা। সৈয়দা রত্না নামে এক নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থানা স্থাপনের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানালে পুলিশ তাঁকে এবং তাঁর কিশোর বয়সী সন্তানকেও থানায় নিয়ে যায় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত দুজনকে আটকে রাখে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সেখানে থানা স্থাপনের উদ্যোগ নিলে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বড়দের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেয় শিশু-কিশোররাও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে আমরা ওই জায়গাটির জন্য আবেদন করেছিলাম। তবে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ওই এলাকায় খেলার জায়গা নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই সেজন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। আসলে প্রতিটি আবাসিক এলাকায় উন্মুক্ত স্থান রাখার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিল সরকার। আমরা মনে করি প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক খেলার মাঠ থাকা অপরিহার্য। জানা গেছে, ঢাকার ৪১টি ওয়ার্ডে কোনো মাঠ নেই। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি খেলার মাঠ তৈরির।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর