রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

পবিত্র ঈদুল ফিতর

ভাগাভাগি করে নিতে হবে উৎসব

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। ৯০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে এটি জাতীয় উৎসবও বটে। এ উৎসবে শরিক হয় সব সম্প্রদায়ের মানুষ। ঈদুল ফিতর হলো সিয়াম সাধকদের জন্য মহান আল্লাহর পুরস্কার। ঈদুল ফিতরের আনন্দ বিশেষভাবে তাদের জন্যই আসে যারা মাহে রমজানে আত্মশুদ্ধির শিক্ষায় নিজেদের আলোকিত করে। রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর শাওয়ালের সূচনায় রোজা ভঙ্গ ও ঈদের জামাতে হাজির হওয়াই ইসলামী পরিভাষায় ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের সকালে বিশ্বাসী মানুষ ছুটে যায় ঈদের জামাতে। নামাজ শেষে তারা একে-অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে। পারস্পরিক আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে ঈদগাহের এ মিলনমেলা। মানুষ উৎসবী পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন মনমানসিকতা নিয়ে একে-অন্যের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পবিত্র জীবন যাপন করবে আল্লাহ তেমনটিই চান। এ উৎসবে সমাজের ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব বিশ্বাসী মানুষ যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য রয়েছে আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধান। এজন্যই সাদাকাতুল ফিতর আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রমজানের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা মানুষকে একদিকে ত্যাগের শিক্ষা দেয়, অন্যদিকে ঈদ উৎসবকে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে আত্মীয়স্বজন-প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগাভাগির তাগিদ দেয়। এ বছর ঈদ এসেছে আগাম বন্যার প্রাক্কালে। হাওর এলাকার লাখ লাখ কৃষকের ফসল কেড়ে নিয়েছে উজান থেকে আসা ঢল। এ ঈদে সেসব অসহায় মানুষের কথা ভাবতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গরিব-দুঃখীদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে ঐশী নির্দেশনার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনের জন্য এ বছরও ঢাকা ছেড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। অন্যান্য মহানগরী থেকেও কর্মজীবীর এক বড় অংশ ঈদ পালনের জন্য ফিরেছে নিজেদের গ্রাম বা মহল্লায় নাড়ির টানে।

আমরা আশা করব তাদের সবাই সুস্থভাবে কর্মস্থলে ফিরে আসবেন। করোনার প্রাদুর্ভাব কমলেও আত্মপ্রসাদে না ভুগে ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজে ও স্বজনদের ঝুঁকিমুক্ত রাখবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর