শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ডায়রিয়া

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

ডায়রিয়া পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। মার্চের শুরু থেকে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে রোগী তারপর কিছুটা কমে এলেও ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ঢাকার বাইরে ভোলা, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন, তত চা-চামচ বা যতটুকু পায়খানা হয়েছে, আনুমানিক সে পরিমাণ খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি দুই বছরের কম বয়সী শিশু অবশ্যই মায়ের দুধ খাবে। শুকনো মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া দেখা দেয়, অত্যধিক গরমে ঝুঁকিটা আরও বাড়ে। দেখা যাচ্ছে, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর একটা বড় অংশ রাজধানীর বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীর। সেখানে নিরাপদ পানি সরবরাহের সমস্যা আছে। সবকিছুর আগে এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। খাওয়ার স্যালাইন থেকে শুরু করে শরবত তৈরি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই পানি হতে হবে নিরাপদ। এ ক্ষেত্রে অবহেলা ও কালক্ষেপণ প্রাণঘাতী হতে পারে, বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে। সরকারের তরফ থেকে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। খাওয়ার স্যালাইন সহজলভ্য করা প্রয়োজন। গণমাধ্যমে ডায়রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভিভাবকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে শিশুদের ব্যাপারে, কারণ শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, অসহায়ত্ব তাদেরই বেশি। এ সময় পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইসিডিডিআরবি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ডায়রিয়া হলে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর