সোমবার, ৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

সাইবার অপরাধ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। কেড়ে নিচ্ছে মানুষের শান্তি। প্রতিদিনই ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আর্থিক প্রতারণা ও মানব পাচারের মতো জঘন্য কাজেও জড়িত সাইবার অপরাধীরা। সাইবার অপরাধ মাত্রাহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী কর্তৃপক্ষীয় অমনোযোগিতা। বিটিআরসির তথ্যমতে, এখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ২৭ লাখ ১৩ হাজার। আর মোবাইল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। অন্যের নামে নিবন্ধিত কিংবা অনিবন্ধিত সিমের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বড় বড় সাইবার অপরাধ। সাইবার অপরাধীরা ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অন্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে। সাইবার বুলিং, অনাকাক্সিক্ষত কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপরাধের ঘটনাও ঘটাচ্ছে। নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ওটিটি কিংবা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ইত্যাদির মাধ্যমে অনেকেই সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। এসব ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে কারও ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন বা অন্যায় কোনো কিছুতে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরাই প্রথম দিকে এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিল ব্যাপকভাবে। এখন বিভিন্ন বয়সীরা এ ফাঁদে পা দিচ্ছেন। বিশেষত নারীরাই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বেশি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাই সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। ভুক্তভোগী নারীদের ৪৯ শতাংশই স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে যেহেতু সাইবার অপরাধ করা হয় সেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরাধীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে দুনিয়াজুড়ে সুনামের অধিকারী হলেও তাতে ব্যত্যয় ঘটছে কয়েকটি সহিংস ঘটনায়। যেগুলোর পেছনে সাইবার অপরাধীদের হাত ছিল প্রত্যক্ষ। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই সাইবার অপরাধ রুখতে সক্রিয় হতে হবে। এ ক্ষেত্রের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর