শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

মোবাইল আসক্তি

শিশুদের দিকে নজর রাখুন

মোবাইল গেম শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাক্ষাৎ হুমকি হয়ে উঠছে। অনলাইন গেমে শিশুদের একাংশ এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে অভিভাবকরা বকাঝকা দেওয়ায় আত্মহত্যাও করেছে এক শিশু। এক কিশোরকে বাবা-মা মোবাইল গেম খেলতে নিষেধ করায় সে বাড়ি ছেড়ে পাঁচ মাস ধরে ছিল আত্মগোপনে। ফেসবুকে বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে র‌্যাব সদস্যরা তার অবস্থান শনাক্ত করে। কিশোরটিকে উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব সদস্যদের মতে, পাবজিসহ বিভিন্ন গেম ও নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছিল সেই কিশোর। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর এজন্য বাবা-মা শাসন করলে অভিমান করে মোবাইল রেখে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মোবাইল গেম এখন আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে অতিরিক্ত গেম আসক্তিতে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাধা পাচ্ছে মানসিক বিকাশ। এ কারণে ছয় থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের চোখ ও মানসিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেখা যাচ্ছে। অনলাইন গেমিং আসক্তিকে মানসিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মোবাইল গেমের কারণে শিশুরা লেখাপড়া-বিমুখ হয়ে পড়ছে। তাদের ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শিশুরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ায় তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের শিশুর বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুুঁকি বেড়ে যায়। একটানা দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন, ট্যাব ও কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকায় অনলাইন গেমে শিশুরা ক্ষীণদৃষ্টি বা ‘মায়োপিয়া’য় আক্রান্ত হচ্ছে। চক্ষু হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর মধ্যে ৮০ শতাংশ এ সমস্যায় ভুগছে। শিশুরা মোবাইল গেমে এতই  আসক্ত যে তাদের খাওয়ার সময় মোবাইল না দিলে খেতে চায় না, অতিরিক্ত জেদ দেখায়, সহিংস আচরণ ও কান্নাকাটি করে। মোবাইল আসক্তি থেকে শিশুদের রক্ষায় মা-বাবাদের সচেতন হতে হবে সবার আগে। তাদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়ার অবিমৃশ্যকারিতা থেকে দূরে থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর