গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের জুস অত্যধিক ঘামের কারণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লোহার অত্যধিক ক্ষতি রোধ করে। আম স্কিন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে। কাঁচা আম শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করে। স্কার্ভি (ভিটামিন সির অভাব), অ্যানিমিয়া ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায়। কাঁচা আমের পাউডার বা আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। কাঁচা আমের প্যাকটিন একটি সমৃদ্ধিশালী উৎস, মধু ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা আমের উচ্চ ভিটামিন সি রক্তনালিগুলোর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে সেদ্ধ করে জুস বানিয়ে খেলে ঘামাচি রোধে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মকালে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। এটি যকৃতের রোগ চিকিৎসায় সাহায্য করে, পিত্ত অ্যাসিড কমায় ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে লিভারকে রক্ষা করে। কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে। ওই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে রক্ষা করে। এটা মনিং সিকনেস চিকিৎসার সহায়ক হিসেবে কাজ করে। কাঁচা আম ভিটামিন সির সমৃদ্ধ উৎস এবং এটি মনোবল উন্নত করে ও রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। পাকা আম রক্ত পরিষ্কার করে। আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে।