বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে সর্বোত্তম নীতিকাঠামোর আশ্বাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার গণভবনে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ। এ দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগীও তারা। স্বাধীনতার পর সর্বাধিক অনুদান এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ খুব বড় কিছু নয়। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার আকাক্সক্ষা রয়েছে বাংলাদেশের। সে কারণে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো থেকে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশকে এখন একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ব্যবসায়ীদের বলেছেন, ভৌত-অবকাঠামোর পাশাপাশি বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়মকানুন উন্নত ও সহজ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ সংসদের আইন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের শতভাগ এলাকা সম্প্রতি বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। সরকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সড়ক-রেল পথ ও নৌ যোগাযোগের উন্নয়ন করছে। সারা দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা চাইলে তাঁদের জন্য একটি জোন নির্ধারণ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়লে তা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ দেশে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে যেহেতু কর্মী পাওয়া যায়, সেহেতু পণ্য উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা হবে। বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ দুই দেশের রাজনৈতিক বোঝাপড়া দৃঢ় করতেও অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর