শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

পিঁয়াজের দামে অস্থিরতা

ভোক্তাদের স্বার্থে আমদানির অনুমতি দিন

দেশের কৃষকের উৎপাদিত পিঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ভারত থেকে এ নিত্যপণ্যের আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে এক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজের দাম বাড়ার প্রক্রিয়ায় সারা দেশে এর প্রভাব পড়েছে। পিঁয়াজের আমদানি অনুমতি বা আইপি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেও এর আগে বাজারে ছিল দেশি পিঁয়াজের একক আধিপত্য। শুধু চট্টগ্রামের বাজারে ভারতীয় পিঁয়াজের কিছুটা দেখা মিলত। কিন্তু পিঁয়াজের আইপি স্থগিত রাখার সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ নিয়েছেন মজুদদাররা। এক দিনের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা। ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির আইপি বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থির হয়ে ওঠে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। আমদানিকারকদের কাছে পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সিন্ডিকেট কারসাজির কারণে হুহু করে বাড়তে থাকে পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম। বুধবার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৩৮ টাকা এবং দেশি পিঁয়াজ ৪০ টাকা। অথচ এক দিন আগেও যা ছিল যথাক্রমে ৩০ ও ৩২ টাকা কেজি। তবে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ মজুদ দিয়ে কোরবানি পর্যন্ত পিঁয়াজের কোনো সংকট তৈরি হওয়ার কথা নয়। অভিজ্ঞজনদের মতে, কৃষককে রক্ষার জন্য সরকার আইপি বন্ধ রাখলেও এতে তাদের লাভ হবে না। কারণ কৃষক ইতোমধ্যে পিঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের হাতে। বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশি পিঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম এলাকা পাবনা, ফরিদপুর, রাজশাহী, বগুড়া, কুষ্টিয়া অঞ্চলে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। এমনিতেই চাল, আটা, তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। পিঁয়াজের কৃত্রিম সংকটে পকেট কাটা হলে ভোক্তাদের জীবন আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে। তা না চাইলে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়াই হবে উত্তম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর