রবিবার, ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

দগ্ধ রোগী

মানুষকে সচেতন করতে হবে

কোথাও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ নেই। কোথাও বন্ধ রয়েছে খোদ বার্ন ইউনিটটি। সেবা বন্ধ রয়েছে ওয়ার্ডবয়ের অভাবে। চিকিৎসক আছেন একজন। আবার কোথাও সংকট যন্ত্রপাতির। এ হলো সারা দেশে আগুনে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিংবা অ্যাসিডে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার চিত্র। ২০১০ সালে রাজধানীর নিমতলী দুর্ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যুর পর দেশের ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় বার্ন ইউনিট খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে ১০টি হাসপাতালের চিত্র বলছে, সে উদ্যোগ ততটা সফল হয়নি। অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেই কেবল পোড়া রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি আলোচনায় আসে। পোড়ার ঝুঁকি সবখানে থাকলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক। নিমতলীর ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার উদ্যোগ নেন। ১৪টি জেলায় কাজও শুরু হয়েছিল। তবে সব জায়গায় কাজ সমানভাবে হয়নি। সারা দেশে গুরুতর দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এখানে আসা ৬৫ শতাংশ রোগীই ঢাকার বাইরের। চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ায় জীবন ঝুঁকিতে পড়ে রোগীদের, বেড়ে যায় ক্ষতের তীব্রতা। ঢাকার বাইরে পাঁচটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা করে মোট ৫০০ শয্যার বার্ন ইউনিট করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত গরম পানি, গরম খাবার বা গায়ে আগুন লেগে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে। এসব ঘটনার শিকার বেশি হয় নারী ও শিশুরা। অন্যদিকে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ বেশি দগ্ধ হয়। সিলিন্ডার বা এসি বিস্ফোরণের ঘটনাও বেড়ে গেছে।  এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আইনেরও যথাযথ প্রয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। তা হলে দুর্ঘটনা কমবে। মানুষ হাসপাতালে কম আসবে। বড় বড় হাসপাতাল গড়ে তুলে লাভ হবে না, যদি দগ্ধ হওয়া বন্ধ করা না যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর