মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

উজান থেকে আসা ঢল

নিম্নাঞ্চলের লাখো মানুষ পানিবন্দি

দেশের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমের এক মাস আগেই উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে শুরু হয়েছে একের পর এক বিপর্যয়। পাহাড়ি ঢলে হাওর এলাকার এক চতুর্থাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। হাওর এলাকার বাইরেও নষ্ট হয়েছে ধান ও অন্যান্য ফসল। সিলেটে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। গৃহপালিত পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত কম হলেও গত রবি ও সোমবার উজানের ঢলে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। ফলে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সারি, গোয়াইন, ধলাইন, সুরমা ও কুশিয়ারার ডাইক ভেঙে যেসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সিলেট সদর, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট। কোথাও ডাইক ভেঙে নদীর পানি ঢুকছে। কোথাও তীর উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢল বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাটি এলাকার নদ-নদী প্লাবিত করায় এ বছর বড় আকারে বন্যা অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি এলাকার মানুষ দুর্বিষহ সংকটে পতিত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে উজানে পানি প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। নদ-নদীর পানির ধারণক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় উজান থেকে ঢল নামলেই বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে ওঠে। আগাম বন্যায় সিলেটসহ দেশের যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে, সেসব এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে প্রশাসনকে দাঁড়াতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন সক্রিয় হবে, এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর