বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

কমছে টাকার দাম

মান রক্ষায় যত্নবান হতে হবে

কিছুতেই ডলার সংকটের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না। বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহ করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ১

টাকা ৭০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায় ১ ডলার নির্ধারণ করলেও আমদানিকারকরা অনেক বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কোনো কোনো ব্যাংক ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে পারছে না। এর মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আবারও ৮০ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে বাড়তে থাকা ডলারের নতুন দর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করে। গেল জানুয়ারিতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা এবং ২৩ মার্চ ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় ২৫ পয়সা। তাতে ১ ডলারের বিনিময়মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। যদিও খোলাবাজারে ডলারের দাম ৯৩-৯৪ টাকা, কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকারকরা ৯৬ টাকায় ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত করছে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিশেষত কর্মজীবীদের। তাদের অজান্তেই বেতন কমে যাচ্ছে টাকার মূল্যমান হ্রাস পাওয়ায়। তেল, গম, চিনি ইত্যাদি ভোজ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে তা মদদ জোগাচ্ছে। এ মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানিকারকরা পড়েছেন বিপাকে। শিল্প স্থাপন বা কাঁচামাল কিনতে গিয়ে উদ্যোক্তাদের গুনতে হচ্ছে বেশি দাম। মূল্যস্ফীতি রোধে টাকার মান রক্ষায় সরকার যত্নবান হবে, এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর