শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বাক স্বাধীনতা, নারী স্বাধীনতা, শৈল্পিক স্বাধীনতা

তসলিমা নাসরিন

বাক স্বাধীনতা, নারী স্বাধীনতা, শৈল্পিক স্বাধীনতা

১. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশে এ বছর কেমন, তা রিপোর্টার্স সাঁ ফ্রন্টিয়ার্স গবেষণা করে বের করেছে। ফ্রান্সের এই সংগঠনটি প্রতি বছরই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বের করে। সংগঠনটি সারা পৃথিবীর রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা নিয়ে বহু বছর গবেষণা করছে। ১৯৯৪ সালের মে মাসে এই নামী সংগঠনটি ‘প্রেস ফ্রিডম দিবস’ উদযাপন করার জন্য আমাকে প্যারিসে নিয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন রেডিও, টেলিভিশন এবং মঞ্চে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে আমার মতপ্রকাশ করার জন্য। সংগঠনটি আরও কিছু দেশ থেকে আরও কজন লেখক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এ বছর তাদের গবেষণায় ধরা পড়েছে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২। দেখা যাচ্ছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি আছে পাকিস্তানে, এমনকী, আফগানিস্তানেও। নেপাল ৭৬, কিন্তু শ্রীলঙ্কা ১৪৬, ভারত ১৫০। সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা বরাবরের মতোই সভ্য দেশগুলোয়, নরওয়ে ১, ডেনমার্ক ২, সুইডেন ৩, এস্টোনিয়া ৪, ফিনল্যান্ড ৫। উত্তর ইউরোপের দেশগুলো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে গণতন্ত্রে, মানবাধিকারে, বাক স্বাধীনতায়। বাক স্বাধীনতা থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র থাকলে মানবাধিকার থাকে, মানবাধিকার থাকলে বাক স্বাধীনতা থাকে। এসব একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাংলাদেশে গণতন্ত্র যেহেতু নড়বড়ে, মানবাধিকার নড়বড়ে, বাক স্বাধীনতা নড়বড়ে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও নড়বড়ে। সে কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জরিপে বাংলাদেশের স্থান এত নিচে, এত পিছে।

সভ্য দেশের কাতারে বাংলাদেশ আদৌ উঠতে পারবে কিনা জানি না। একটি স্বাধীন সভ্য দেশ পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছিলাম একাত্তরে। তারপর এ কেবল পরাধীনতার দিকেই হাঁটছে। পরাধীনতার আমিই তো এক উদাহরণ। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার, আমার বাক স্বাধীনতা সব কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। আজ আঠাশ বছর পার হলো, আমার অধিকার আজও লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই দেশের প্রেস ফ্রিডম আফগানিস্তানের মতো একটি অগণতান্ত্রিক তালিবানি দেশের প্রেস ফ্রিডমের চেয়েও নিচে, এ কারণে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

২. মূর্খদের মাথায় যুক্তি খেলে না। পূর্বসুরিরা যা শিখিয়ে যায়, তাই শেখে মূর্খরা। মূর্খদের নিজস্ব চিন্তাশক্তি নেই। মূর্খরা নতুন কিছু ভাবতে জানে না। মূর্খরা ‘স্টেটাস কুয়ো’ অর্থাৎ যেটা যেভাবে আছে সেটা সেভাবেই থাকুক চায়।

সমাজ বদল করতে হলে পুরোনো ধ্যান-ধারণা থেকে বাইরে বেরোতে হয়। যখনই বাইরে বেরোই, যখনই নতুন কিছু বলি, মূর্খরা তখন আমার বিরুদ্ধে এমন কথা ছড়িয়ে দেয়, যেমন-‘এ অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য লেখে।’ যা শুনে মূর্খ নয় এমন মানুষও আমার বক্তব্য পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিতর্কে অংশগ্রহণের কোনও ইচ্ছে মূর্খদের নেই। বিতর্ককে তারা ভয় পায়। কারণ বিজ্ঞান বিষয়ে, নীতি বিষয়ে, সমাজ বিষয়ে, ইতিহাস ভূগোল বিষয়ে যে কোনও তর্কে তাদের অযুক্তি প্রমাণ করার জন্য একটিই গ্রন্থ তাদের আছে, সে হলো ধর্ম গ্রন্থ।

নারীবিদ্বেষ মূর্খদের রক্তে। যেই না বললাম ‘রজঃস্রাবরত মেয়েরা যদি ধর্ম কর্ম করতে চায়, কেন তারা সেই অধিকার পাবে না?’ অমনি মূর্খের দল গালিগালাজ আর একরাশ যুক্তিহীনতা আর চিন্তাহীনতা নিয়ে ছুটে এলো। হিন্দু, খ্রিস্টান, ইহুদি, মুসলিম-বিশ্বাসী মাত্রই বলে- ‘এ তো ধর্মের কিছুই জানে না, কিন্তু ধর্ম নিয়ে কথা বলছে।’ তাদের স্থুল বুদ্ধিতে ধরে না এমন কোনও কথা শুনলেই বলবে, ‘ধর্মের কিছুই জানে না’। যেহেতু জানে না সেহেতু এর কথা বলার কোনও অধিকারই নেই। কোথায় আমার অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে, কোথায় আমার যুক্তি দুর্বল, তা কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে চায়নি। শুধু ফাঁসির দাবি করেছে, শুধু চাপাতি বোমা কুড়ুল বন্দুক হাতে নিয়ে ঘুরেছে খুন করবে বলে।

ধর্ম সম্পর্ক তাহলে কারা ভালো জানে? মৌলবী পুরোহিত জানে। পাদ্রী রাব্বাই জানে।

বাংলাদেশে দিন রাত মেয়েদের বিরুদ্ধে, প্রগতির বিরুদ্ধে, সভ্যতার বিরুদ্ধে, অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ওয়াজের নামে গালি গালাজ করছে যে চতুর ব্যবসায়ীগুলো, মূর্খদের আরও মূর্খ বানাচ্ছে যারা,-তারা জানে ধর্ম সম্পর্কে।

মূর্খরা আছে বলেই ধর্ম নামের রূপকথাগুলো টিকে আছে, মূর্খরা আছে বলেই বৈষম্যের সমাজ টিকে আছে। মূর্খের সংখ্যা আমার দেশে বেশি বলেই আমি আজ দেশের বাইরে।

৩. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে কেউ, এই সত্য অভিযোগে যখন কাউকে হত্যা করা হয়, যখন কাউকে লাঞ্ছনা করা হয়, তখন যদি দেশের সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ করে, অপরাধীদের বিচার হয়, বুঝবো দেশ নিয়ে আশা করার কিছু আছে। বুঝবো দেশে গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা আর মত প্রকাশের অধিকারকে অধিকাংশ মানুষ সম্মান করে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার পরও যদি কেউ হুমকি না পায়, শাস্তি না পায়, কোপ না খায়, গুলি না খায়, তখন বুঝবো দেশে গণতন্ত্র আছে, বাক স্বাধীনতা আছে, মত প্রকাশের অধিকার আছে। আমি সেই দিনটির অপেক্ষায়।

৪. এবার একটু অন্য প্রসঙ্গ। একটি মেয়ে তার স্ফীত উদর উদোম করে একটি পুরুষের গায়ে হেলান দিয়ে সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আছে। ফেসবুকে প্রচারিত এই ফটোটির বিরুদ্ধে বলছে রক্ষণশীল লোকেরা, কারণ মেয়েদের শরীর প্রকাশিত হোক এরা চায় না, এরা হিজাব বোরখার সমর্থক। ফটোটির পক্ষে বলছে প্রগতিশীল লোকেরা। পক্ষে বলতে গিয়ে কেউ কেউ ফটোটিকে মহান এবং পবিত্র বলছে। কেন বলছে? যেহেতু মেয়েটি গর্ভবতী, তাই। আমার চোখে ফটোটি শ্লীলও নয়, অশ্লীলও নয়। গর্ভবতী বলে তার শরীর পবিত্র এবং মহান, এ আমি মানি না। গর্ভবতী বলেই ছবিটি গর্ভহীন ছবির চেয়ে বেশি সুন্দর, এ আমি মানি না। মেয়েটি যদি গর্ভবতী না হতো, সে যদি তার উদর উদোম করে ফটো তুলতো, সেটি একই রকম অথবা তারও চেয়ে বেশি সুন্দর হতো। কেউ মানুক বা না মানুক, সত্য এই যে, গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক অনেক সমস্যার মুখোমুখি মেয়েদের হতে হয়। শারীরিক সমস্যাগুলো সুন্দর নয়, মহানও নয়। অস্বস্তি, অস্বাচ্ছন্দ্য, অশান্তি আর নানারকম অসুখ নিয়ে মেয়েদের গর্ভাবস্থার দীর্ঘ ন’মাস পার করতে হয় এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তান জন্ম দিতে হয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের বংশ রক্ষা করার জন্যই মেয়েদের সন্তান, বিশেষ করে পুত্রসন্তান, জন্ম দিতে বাধ্য করা হয়। আসলে বেশির ভাগ সময় তারা যে বন্ধ্যা নয়, তা প্রমাণ করার জন্যই সন্তান জন্ম দিতে হয় মেয়েদের। তা না হলে নিরন্তর গঞ্জনা সইতে হয় তাদের। সমাজ তো আমাদের এমনই। মাতৃত্বকে মেয়েদের জীবনের সার্থকতা বলে প্রচার করেছে। মেয়েদের বুদ্ধিমত্তা এবং প্রতিভাকে তুচ্ছ করতে করতে মেয়েদের জীবনকে নগণ্য করতে করতে এমন অবস্থা করেছে যেন মেয়েরা যৌনাঙ্গ এবং গর্ভ ছাড়া অন্য কিছু নয়। এমন কুৎসিত বৈষম্যের সমাজে একটি মেয়ের গর্ভবতী হওয়াটা এমন কী মহৎ ঘটনা? যে সন্তান জন্ম নেবে, সে সন্তানকে পরিচিত হতে হবে পিতার পরিচয়ে, সে সন্তানের নামের পদবী হবে পিতার পদবী, সে সন্তান হয়ে উঠবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আরও একটি ধারক এবং বাহক। জন্ম দেওয়া ছাড়া, সন্তান লালন পালন ছাড়া মেয়েদের আর কোনও ভূমিকাই নেই। যৌনবস্তু আর সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র ছাড়া পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েদের আর কিছু বলে মনে করে না।

এই নষ্ট সমাজে বিয়ে না করা, গর্ভবতী না হওয়া, সন্তান জন্ম না দেওয়াই মেয়েদের সবচেয়ে সুন্দর কাজ, সবচেয়ে মহান কাজ, সবচেয়ে পবিত্র কাজ বলে আমি মনে করি।

৫. এবার আরও একটু অন্য প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগে দেখেছি থিংকিং অফ হিম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সম্পর্ক নিয়ে আর্জেন্টিনার পরিচালকের বানানো একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি, যে ছবিতে কোনও চরিত্রের নাম বদলানো হয়নি, আর আজ দেখেছি অপরাজিত, সত্যজিৎ রায়ের জীবনের একটি অংশ নিয়ে বাঙালি পরিচালকের বানানো একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি, যে ছবিতে সব চরিত্রের নাম বদলানো হয়েছে। দুটো ছবির মধ্যে ভালো আমার কোনটি মনে হয়েছে? নিঃসন্দেহে অপরাজিত। দুটো ছবির যে ব্যাপারটি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে, তা হলো, রবীন্দ্রনাথ চরিত্রে ভিক্টর ব্যানার্জিকে অবিকল রবীন্দ্রনাথের মতো দেখতে, এবং সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতু কামালকে প্রায় অবিকল সত্যজিতের মতো দেখতে।

আমি সাধারণত কোনও ছবি একবারের বেশি দেখি না। খুব যদি অসাধারণ কিছু হয়, তাহলে দু’তিন বার দেখি, এর বেশি নয়। তবে পথের পাঁচালি ছবিটি জীবনে যত ছবি আমার একাধিকবার দেখার তালিকায় আছে, তার মধ্যে শীর্ষে। হয়তো পঞ্চাশ-ষাটবার দেখা হয়েছে। এক সময় ভালো ছবি সংগ্রহ করার আমার এক শখ ছিল। যেমন ছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহের বইয়ের লাইব্রেরি, তেমন ছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহের ভিডিও ক্যাসেট এবং ডিভিডির লাইব্রেরি। নিজের সংগ্রহে থাকা পথের পাঁচালি তো একাধিকবার নিজে দেখেছিই, স্বজন বন্ধুদের দেখাতে গিয়েও দেখেছি অনেকবার। যতবারই দেখেছি, চোখ জলে ভেসেছে, বিশেষ করে অপু যখন পড়শি মেয়ের হারিয়ে যাওয়া পুঁতির মালাটি দুর্গার জিনিসপত্রের মধ্যে পেয়ে কাউকে না জানিয়ে পুকুরে ছুড়ে দেয়, কেউ যেন না জানে দিদি চুরি করেছিল মালাটি।

এই পথের পাঁচালি ছবিটি কী করে সত্যজিৎ রায় তৈরি করেছিলেন, সেটির অনেকটাই জানা ছিল, আজ আরও বেশি জানা হলো। যাদের একাধিকবার পথের পাঁচালি না দেখা হয়েছে, যাদের অন্তরে পথের পাঁচালির প্রতিটি দৃশ্য গাঁথা নেই, পথের পাঁচালির নেপথ্য কাহিনী ‘অপরাজিত’ তাদের কতটা ভালো লাগবে আমি জানি না। তবে আমি তো আগাগোড়াই উপভোগ করেছি।

বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্রের নির্মাণকৌশল নিয়ে চমৎকার সব তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোনও একটি চলচ্চিত্রের নির্মাণকে প্রধান বিষয় করে, সত্য কাহিনির ওপর ভিত্তি করে, ফিচার ফিল্ম খুব কমই তৈরি হয়েছে। বাংলায় তো সম্ভবত এই প্রথম।

আমি জানি না কী কারণে সত্যজিৎকে অপরাজিত, বিজয়াকে বিমলা, অপুকে মানিক, মানিককে অপু, করুণাকে বরুণা, বাইসাইকেল থিফকে বাইসাইকেল রাইডার, সুকুমার রায়কে শ্রীকুমার রায়, পথের পাঁচালিকে পথের পদাবলি করা হয়েছে। নাম না বদলালে, আমার মনে হয়, যত ভালো হয়েছে ছবিটি, তার চেয়ে আরও ভালো হতো। কত প্রাচীনকালের যোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক, দার্শনিক, কবি, বিপ্লবীর বায়োপিক নির্মিত হয়েছে, খুব সামান্যই তথ্য সম্বল করে। তাঁদের জীবনের প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি সংলাপ বাস্তবের সঙ্গে নিশ্চয়ই শতভাগ মেলে না, কিন্তু তাই বলে চরিত্রের নাম বদলে দেওয়া হয়নি তো! লিঙ্কন ছবিতে আব্রাহাম লিঙ্কনের নাম হারবাহাম শিঙ্কন হলে আদৌ কি ভালো দেখাতো? হিচকক ছবিতে হিচককের নাম তো বদলে দেওয়া হয়নি। ম্যালকম এক্সকে নিয়ে তৈরি ম্যালকম এক্স, রে চার্লসকে নিয়ে তৈরি রে- কোথাও তো নাম বদলে দেওয়া হয়নি। একেবারে বাস্তবের সঙ্গে অক্ষরে অক্ষরে সব সংলাপ বা মুহূর্ত মিলতে হবে বায়োপিকে এই দিব্যি কেউ দেয় না। পথের পাঁচালি নির্মাণ করতে গিয়ে সত্যজিৎ রায় কী কী সমস্যার সামনে পড়েছিলেন, কী কী ঘটনার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, তা নিজে যেমন তিনি বলেছেন লিখেছেন, তাঁর কাছের মানুষেরাও বলেছেন লিখেছেন। সুতরাং তাঁকে নিয়ে হওয়া বায়োপিক বাস্তবের সঙ্গে মেলাই স্বাভাবিক। তারপরও পরিচালক অনীক দত্তকে সত্যজিতের নাম বদলে অপরাজিত রাখতে হয়, এটি বড় বেদনার।

                লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।

সর্বশেষ খবর