বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা

কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে

জলাবদ্ধতা বন্দরনগর চট্টগ্রামের নিত্যনৈমিত্তিক বর্ষাকালীন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যায় ভোগেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতা নিরসনে শত শত কোটি টাকা খরচ করার পরও এ ক্ষেত্রে অশ্বডিম্ব প্রসবই শুধু ঘটছে। পরিণতিতে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় ভুগছে চট্টগ্রামের মানুষ। ৫ মে মাত্র ২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম মহানগরের নিম্নাঞ্চল। অথচ চট্টগ্রামে গত বছর ২১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বড় ধরনের বৃষ্টি হলে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতার অভিশাপ নিরসনে তিনটি সংস্থা ১০ হাজার কোটি টাকার পৃথক চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে সিডিএ ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার মেগা প্রকল্প এবং ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চাক্তাই খাল থেকে কর্ণফুলী নদীর তীর কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত সাড়ে    ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে বহদ্দারহাট থেকে বারইপাড়া হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের একটি নতুন খাল। ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করছে ‘চট্টগ্রাম মহানগরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। ফলে বর্ষা এলেই সঙ্গে নিয়ে আসে চরম আতঙ্ক-ভয়, দুর্যোগ। চট্টগ্রাম মহানগরে ছোট বড় ৫৭টি  খাল রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিসরনে ৩৬টি খাল খননের কাজ চলছে। বাকি খালগুলো নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে পরিষ্কার করার কথা থাকলেও   তা করা হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে এ বছর চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা           বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর