সোমবার, ২৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

রুখতে হবে হুন্ডি

তীক্ষ্ণ নজরদারির বিকল্প নেই

ব্যাংকিং চ্যানেল ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য এখনো সাত টাকারও বেশি। এ পার্থক্য হুন্ডি ব্যবসায়ীদের রমরমা সুযোগ করে দিতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ পার্থক্য যুক্তিগ্রাহ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা না গেলে প্রবাসীদের একাংশ বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে উৎসাহী হবেন। এ প্রবণতা জেঁকে বসলে বৈধভাবে দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাবে। দীর্ঘ দুই বছর করোনার দুর্যোগে স্থবির হয়ে পড়েছিল বাণিজ্যিক কার্যক্রম। সে বিপদ থেকে মুক্তির পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। শিল্পোদ্যোক্তারা শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছেন জোরেশোরে। শিল্প স্থাপনে সহায়ক যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এর ফলে মুদ্রাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। একপর্যায়ে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকায় উঠে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তাৎক্ষণিক নজরদারিতে   দু-তিন দিনের ব্যবধানে এ দাম আবার ৯৬ টাকায় নেমে এসেছে। অথচ ডলারের ব্যাংক রেট এখনো ৮৭ টাকার নিচে। সরকারি ঘোষিত ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা যোগ হয়ে প্রতি লাখে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা বেশি পান প্রবাসীরা। অন্যদিকে ইনফরমাল বা অবৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি লাখে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা বেশি পাবেন তারা। এ জন্য তারা অবৈধ পথেই রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। গত ঈদুল ফিতরের সময় বৈধপথে রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল। ঈদের পরও এই প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খোলাবাজারে ডলারের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ায় অবৈধপথে রেমিট্যান্স আসা বেড়ে যেতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা বেড়াতে যাওয়া স্বজনদের কাছেও নগদ ডলার পাঠিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন প্রবাসীরা। এ ধারা রোধ করতে না পারলে বৈধপথে রেমিট্যান্স আসা হ্রাস পেতে পারে। দেখা দিতে পারে ডলারের মজুদ হ্রাস পাওয়ার সংকট। যা রোধে বাংলাদেশ ব্যাংককে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ডলারের মজুদ যাতে হ্রাস না পায় সে দিকে রাখতে হবে তীক্ষ্ণ নজর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর