শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়াক শেয়ারবাজার

গুজবে কান দেওয়া আত্মঘাতী

শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নেমেছে। এ ধসকে আস্থার সংকট বলে অভিহিত করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ধস নামার কোনো যৌক্তিক কারণ না থাকা সত্ত্বেও এটি হয়েছে অযথা সংশয় থেকে। সেহেতু বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং চলতি মাসেই সুদিন দেখা দেবে এমন আশা বিশ্লেষকদের। বিনিয়োগকারীদের মতে, ২০১০ সালের পর এমন ধস কখনো নামেনি। বাজার বিশ্লেষকরা এ অভিমত মেনে নিয়ে বলেছেন, ২০১০ সালে হঠাৎই বেড়ে গিয়েছিল ভালোমন্দ সব শেয়ারের দাম। শেয়ারবাজারে হুমড়ি খেয়ে নেমেছিল অনভিজ্ঞরা। জুয়া খেলায় অর্থ বিনিয়োগের মতো দান চালতে গিয়ে তারা ধরা খেয়েছে। বর্তমান দরপতনের পেছনেও রয়েছে অজ্ঞতা। যে কারণে ভালো শেয়ারেরও দাম কমেছে। বিনিয়োগকারীরা এ ভ্রান্তি থেকে সরে এলেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। স্মর্তব্য, রবিবার এক দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে ১১৫ পয়েন্টের বেশি। শেয়ারের দর কমেছে ডিএসইর তালিকাভুক্ত ৯০ শতাংশ কোম্পানির। রবিবার ডিএসইর লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বাড়ে। লেনদেনের ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে দিন শেষে এ প্রবণতা ধরে রাখতে পারেনি বাজার। সময় যতই গড়িয়েছে সূচকের পতন এগিয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১৫ পয়েন্ট কমে ৬১৪২ পয়েন্টে নেমেছে। আট কার্যদিবসের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান সূচক হারাল ৫৫২ পয়েন্ট। সূচক পতনের সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯০ শতাংশের শেয়ারের দর কমেছে। লেনদেনে দেখা গেছে, ডিএসইতে মাত্র ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪৫টির। আর ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এক দিনে এমন দরপতন প্রথম হলেও এর পেছনে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট ও অস্থিরতাই মূলত দায়ী। যার অবসানে গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনটি ভালো কোনটি মন্দ সে দিকটি আগে পর্যালোচনা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর