বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

বনসৃজন

পৃথিবীতে যে হারে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে তাতে বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পরিবেশবিজ্ঞানীরা এ মুহূর্তে যতটা উদ্বিগ্ন, এর আগে তাঁদের ততটা উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। কীভাবে এ বিপদ থেকে রেহাই পাওয়া যায় সে নিয়ে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। টিম ফক্সের নেতৃত্বে এক গবেষক দল তাঁদের রিপোর্টে সম্প্রতি বলেছেন, কৃত্রিম গাছের বনাঞ্চল উষ্ণায়ন ঠেকাতে সক্ষম। বলা হয়েছে, ১ লাখ আর্টিফিশিয়াল গাছের একটি বনভূমি সৃষ্টি করা হলে এ বিপদ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। তাঁদের মতে, পৃথিবীতে এখনো যে পরিমাণ গাছপালা রয়েছে, তার সঙ্গে কৃত্রিম গাছের সম্মিলিত শক্তি মিলে মাত্র ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর বাড়তি কার্বন শোষণ করে নেওয়া সম্ভব হবে।  বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কৃত্রিম গাছ সৃষ্টির জন্য তিনটি জিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োজন হবে। পৃথিবীর বর্ধিত কার্বন অপসারণের যেহেতু আর কোনো পন্থা-পদ্ধতি নেই, তাই এ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পৃথিবীকে মানুষের বাসোপযোগী করে তুলতে হবে। তাঁরা ওই রিপোর্টের সঙ্গে ১০০ বছরের একটি রোডম্যাপও প্রণয়ন করেছেন। রোডম্যাপে পৃথিবীকে ১০০ বছরের মধ্যে কার্বনহীন উন্নত অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তা হলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানবসমাজের পক্ষে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, কলকারখানাসহ নানারকম ধোঁয়া উদ্গিরণকারী কেন্দ্র থেকে অনবরত কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হচ্ছে প্রতিদিন। এতে পৃথিবী ক্রমে এর শোষণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। তাঁদের আশঙ্কা, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে পৃথিবীর এ শোষণ ক্ষমতা শূন্যের পর্যায়ে নেমে আসবে। ফলে কার্বন নির্গমন ও শোষণের মাত্রার মধ্যে সামাঞ্জস্য থাকবে না।           

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর