বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

৪ কোটি মানুষের ভাগ্য ফেরাবে

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হতে চলেছে আর মাত্র চার সপ্তাহ শেষে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার কয়েক কোটি মানুষের স্বপ্নসৌধ এ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে ২৫ জুন থেকে। প্রধানমন্ত্রী এ সেতু উদ্বোধন করবেন। তিনি পদ্মা সেতু তাঁর নামে করার প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার গণভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। স্মর্তব্য, ২০১২ সালের ১০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয় সেতুর নির্মাণকাজ। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ পুরোদমে শুরু হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণে শুরুতে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও সর্বশেষ তা তিন গুণ বেড়ে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায়। ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকায় উন্নীত করে এর সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে আবারও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ে। এর ফলে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বেড়ে তা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ৪২টি পিয়ারের ওপর।

পদ্মা সেতু চালু হলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সমৃদ্ধির পাদপ্রদীপের নিচে আসার সুযোগ পাবে।

অন্তত ৪ কোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তা অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর