বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

গ্রাম হবে শহর

নিশ্চিত হবে নাগরিক সুবিধা

আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭টি গ্রামকে শহরে পরিণত করা হচ্ছে। শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোয়। এগুলো বাস্তবায়নের পর পর্যায়ক্রমে দেশের ৩০০ নির্বাচনী এলাকার একটি করে মোট ৩০০ গ্রামকে আনা হবে এ কর্মসূচির আওতায়। নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে গ্রামেই শহরের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার পথে এগোচ্ছে সরকার। গ্রামেই গড়ে উঠবে শহরের মতো দৃষ্টিনন্দন ঘরবাড়ি। পাড়া-মহল্লায় থাকবে পাকা রাস্তা ও কালভার্ট-সেতু। প্রতিটি বাড়িতে থাকবে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশন সুবিধা। গ্রামগুলোয় থাকবে স্কুল, শপিং মল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাটবাজার, কমিউনিটি স্পেস বা বিনোদনব্যবস্থা। রাস্তায় থাকবে রোডলাইটের ঝলমলে আলো। বিভিন্ন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এক কথায় গ্রামেই মিলবে শহরের নাগরিক সুবিধা। প্রথম দফায় উল্লিখিত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দেশের ১৭টি গ্রামকে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগামী পাঁচ বছরে দেড় লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪০ কোটি। অনুন্নয়ন ব্যয় ১৫ হাজার কোটি। উন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৭ শতাংশ বিদেশি দাতা সংস্থা থেকে পাওয়া যাবে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা গ্রামে উন্নত রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন, ইন্টারনেট সুবিধা ও ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণে অবদান রাখতে পারে। গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচলে শহরমুখী জনস্রোত ঠেকানো সম্ভব হবে। সার্বিকভাবে জাতীয় উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন প্রতিটি সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। জনসমর্থন অর্জনে যার গুরুত্ব অপরিসীম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর